আরও ৪ দেশে এনআইডি কার্যক্রমের অনুমতি
ফ্রান্সসহ আরও চারটি দেশে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) কার্যক্রম পরিচালনা করতে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) অনুমতি দিয়েছে সরকার। বুধবার (২৭ আগস্ট) বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন এনআইডি অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ এস এম হুমায়ুন কবীর।
তিনি বলেন, বাহারাইন, সিঙ্গাপুর, ফ্রান্স, স্পেনে থাকা প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটার নিবন্ধনে অন্তর্ভুক্ত করতে সম্মতি দিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্র, ওমান, মালদ্বীপ, জর্ডান ও দক্ষিণ আফ্রিকায় এ কার্যক্রম পরিচালনার অনুমতি পায় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানীসহ চারটি অঙ্গরাজ্যে কার্যক্রম হাতে নেওয়ার উদ্যোগ সম্পন্ন করেছে সংস্থাটি।
বর্তমানের ১০টি দেশের ১৭টি স্টেশনে দূতাবাসের মাধ্যমে ভোটার কার্যক্রম পরিচালনা করছে ইসি। দেশগুলো হলো, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কুয়েত, কাতার, মালয়েশিয়া, যুক্তরাজ্য, ইতালি, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা ও জাপান। এসব দেশ থেকে ৫০ হাজার প্রবাসী ভোটার হয়ে এনআইডি নিতে আবেদন করেছেন।
ভোটার হতে প্রবাসীদের জন্য চার তথ্য বাধ্যতামূলক
বিদেশে বসে ভোটার হওয়ার জন্য অনলাইনে পূরণ করা আবেদনপত্র (ফরম-২(ক), মেয়াদ সম্বলিত বাংলাদেশি পাসপোর্ট/মেয়াদহীন পাসপোর্ট/এনআইডিধারী তিন নাগরিকের প্রত্যয়ন, অনলাইন জন্মনিবন্ধন ও পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি বাধ্যতামূলকভাবে সংশ্লিষ্ট নিবন্ধন কেন্দ্রে (দূতাবাসের সংশ্লিষ্ট ডেস্কে) জমা দিতে হবে।
এদিকে বিশেষ ৫৬টি উপজেলা/থানার (চট্টগ্রাম অঞ্চল) নাগরিকদের জন্য বিশেষ তথ্য ফরম পূরণ, শিক্ষা সনদ, পিতা-মাতার এনআইডি, মৃত হলে মৃত্যু সনদ, ড্রাইভিং লাইসেন্স/টিআইএন (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে), কতিপয় দেশের ক্ষেত্রে দ্বৈত নাগরিকত্ব সনদ (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে), নিকাহনামা এবং স্বামী-স্ত্রীর এনআইডি (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে), নাগরিকত্ব সনদ (কাউন্সিলর, চেয়ারম্যান/মেয়র/সিইও কর্তৃক), ইউটিলিটি বিলের কপি (ভোটার এলাকার ঠিকানার বিদ্যুৎ/পানি/গ্যাস বিলের কপি, ভাড়াটে হলে বাড়ি ভাড়ার চুক্তিপত্র ও বাড়িওয়ালার অনাপত্তিপত্র জমা দিতে হবে।
স্বজনের মাধ্যমে যেসব তথ্য দেওয়া যাবে
বাধ্যতামূলক নয়, এমন তথ্যগুলো নিবন্ধন কেন্দ্রে জমা দিতে না পারলে প্রবাসী নাগরিকরা দেশে বসবাসকারী তাদের আত্মীয়ের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট উপজেলা কর্মকর্তার কাছে জমা দিতে পারবেন। প্রবাসীরা সংশ্লিষ্ট দেশে বসে ভোটার হওয়ার ফরম পূরণ করলে এবং সব তথ্য সঠিক থাকলে নির্বাচন কমিশন ওই ব্যক্তির উপজেলায় তদন্ত করে সঠিকতা নিশ্চিত হয়। এরপর তথ্যের সঠিকতা পেলে সেই ব্যক্তির আবেদন অনুমোদন করে ভোটার করে নেয়।
একই সঙ্গে তার এনআইডি সংশ্লিষ্ট দূতাবাসে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।