চারমাস পর আরিচা-কাজিরহাট নৌপথে স্পিডবোট সেবা চালু হয়েছে। ৫৪টি স্পিডবোট দিয়ে এ সেবা কার্যক্রম পুনরায় চালু হয়। শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে স্পিডবোট সার্ভিসের উদ্বোধন করেন বিআইডব্লিউটিএর পরিচালক (পোর্ট) এ কে এম আরিফ উদ্দিন।
এ সময় তিনি জানান, আপাতত পাবনার কাজিরহাট ঘাটে ৪৩ ও মানিকগঞ্জের আরিচা ঘাটের ১১টি স্পিডবোট রুট পারমিট পেয়েছে। যাত্রী ভোগান্তি বিবেচনায় আপাতত এগুলো দিয়ে দ্রুতগতির এ সেবা চলবে। তবে আরও ৫০টি বোটের রুট পারমিটের আবেদন রয়েছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে প্রক্রিয়া শেষে বাকিগুলো চলাচলের অনুমতি প্রদানের বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে।
স্থানীয়রা জানায়, ২০১৬ সালের দিকে কাজীরহাট-আরিচা নৌরুটে লঞ্চ ও ফেরির পাশাপাশি স্পিডবোট চলাচল শুরু হয়। ১৩ কিলোমিটার দূরত্বের এ নৌপথে ৪টি ফেরি ও ৯টি লঞ্চ চলাচল করে। এর সঙ্গে ১২ ও ১৮ সিটের প্রায় একশত স্পিডবোট চলতো দুইপাড়ে (আরিচা ও কাজিরহাট)। এতে করে এক ঘণ্টারও বেশি সময়ের জলপথ পাড়ি দেওয়া যেতো ১৫-২০ মিনিটে।
যাত্রী জাহিদ হাসান নামের এক যাত্রী জানান, ঢাকার সঙ্গে এ রুটে দূরত্ব কম। সময় আরও বাঁচিয়ে দিতো স্পিডবোট। এ কয়মাস এ সেবা না থাকায় সময় ও ভোগান্তি উভয়ই বেড়ে গিয়েছিল।
কাজিরহাট ঘাটের স্পিডবোট ব্যবসায়ী ফেরদৌস হোসেন বলেন, বিগত সরকারের সময় ১৫ বছর আওয়ামী লীগ নেতারা অবৈধভাবে স্পিডবোট ঘাট পরিচালনা করেছে। যাত্রীদের কাছ থেকে ভাড়া বেশি নিয়েছে। এ রুটে যেখানে ২০-২৫ টি স্পিডবোট চালানো যথেষ্ট। সেখানে তারা ৮০টি স্পিডবোট চালাত। বড় একটা স্পিডবোটে ১৬ জন ধারণক্ষমতা, সেখানে তারা বেশি টাকার আশায় ২১ জন বহন করতো।
এ ব্যাপারে বিআইডাব্লিউটিএর নগরবাড়ি-কাজিরহাট-নরাদহ নদীবন্দরের পোর্ট অফিসার মো. আব্দুল ওয়াকিল বলেন, পূর্বে যে সব মালিক স্পিডবোট পরিচালনা করতেন, বন্ধ থাকার এ সময়টাতে তাদের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করলেও তারা বোট চালু করতে পারেননি। ফলে তাদের রুট পারমিট বাতিল করে প্রক্রিয়া মেনে অন্যদের রুট পারমিট দেওয়া হয়েছে।
আলমগীর হোসাইন নাবিল/আরএইচ/এমএস