আলটিমেটাম শেষ; পে-স্কেল বাস্তবায়ন নিয়ে নতুন শঙ্কা

সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নতুন পে-স্কেল বাস্তবায়ন নিয়ে জটিলতা যেন কাটছেই না। পে কমিশনের কাছে চূড়ান্ত সুপারিশ জমা দেওয়ার জন্য কর্মচারীদের দেওয়া আল্টিমেটামের শেষ দিন আজ রোববার। তবে এখনো কমিশনের পক্ষ থেকে সুপারিশ জমা দেওয়ার বিষয়ে স্পষ্ট ঘোষণা আসেনি। তাই পে-স্কেল বাস্তবায়ন নিয়ে নতুন করে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। গত জুলাইয়ের শেষে সাবেক অর্থসচিব জাকির আহমেদ খানকে জাতীয় বেতন কমিশনের চেয়ারম্যান করে ২৩ সদস্যের কমিটি গঠিত হয়। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, প্রথম সভার তারিখ থেকে ছয় মাসের মধ্যে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিতে হবে। এরই ধারাবাহিকতায় অনলাইন মতামত গ্রহণ, কর্মচারী সংগঠনগুলোর সঙ্গে মতবিনিময় এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিবদের সঙ্গে দুই দফায় বৈঠক করেছে কমিশন। গত ২৪ ও ২৬ নভেম্বর সচিবদের সঙ্গে বৈঠকের পর কমিশন চেয়ারম্যান জানান, আলোচনা ‘ফলপ্রসূ’ হলেও কয়েকজন সচিব অনুপস্থিত থাকায় আবারও বৈঠক হবে। সুপারিশ কবে জমা দেওয়া সম্ভব হবে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘খুব দ্রুত সময়ের মধ্যেই রিপোর্ট দিতে পারব বলে আশা করছি।’ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সংগঠনগুলো স্পষ্টভাবে জানিয়েছে, ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে গেজেট প্রকাশ না হলে এবং ১ জানুয়ারি

আলটিমেটাম শেষ; পে-স্কেল বাস্তবায়ন নিয়ে নতুন শঙ্কা

সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নতুন পে-স্কেল বাস্তবায়ন নিয়ে জটিলতা যেন কাটছেই না। পে কমিশনের কাছে চূড়ান্ত সুপারিশ জমা দেওয়ার জন্য কর্মচারীদের দেওয়া আল্টিমেটামের শেষ দিন আজ রোববার।

তবে এখনো কমিশনের পক্ষ থেকে সুপারিশ জমা দেওয়ার বিষয়ে স্পষ্ট ঘোষণা আসেনি। তাই পে-স্কেল বাস্তবায়ন নিয়ে নতুন করে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

গত জুলাইয়ের শেষে সাবেক অর্থসচিব জাকির আহমেদ খানকে জাতীয় বেতন কমিশনের চেয়ারম্যান করে ২৩ সদস্যের কমিটি গঠিত হয়। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, প্রথম সভার তারিখ থেকে ছয় মাসের মধ্যে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিতে হবে।

এরই ধারাবাহিকতায় অনলাইন মতামত গ্রহণ, কর্মচারী সংগঠনগুলোর সঙ্গে মতবিনিময় এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিবদের সঙ্গে দুই দফায় বৈঠক করেছে কমিশন।

গত ২৪ ও ২৬ নভেম্বর সচিবদের সঙ্গে বৈঠকের পর কমিশন চেয়ারম্যান জানান, আলোচনা ‘ফলপ্রসূ’ হলেও কয়েকজন সচিব অনুপস্থিত থাকায় আবারও বৈঠক হবে।

সুপারিশ কবে জমা দেওয়া সম্ভব হবে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘খুব দ্রুত সময়ের মধ্যেই রিপোর্ট দিতে পারব বলে আশা করছি।’

সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সংগঠনগুলো স্পষ্টভাবে জানিয়েছে, ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে গেজেট প্রকাশ না হলে এবং ১ জানুয়ারি থেকে নতুন পে-স্কেল কার্যকর না হলে কর্মবিরতি, জেলায় জেলায় বিক্ষোভ, ঢাকায় মহাসমাবেশসহ কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার প্রস্তুতি রয়েছে।

১১-২০ গ্রেডের কর্মচারী ফোরামসহ শিক্ষক, দপ্তরি, গাড়িচালক, রেলওয়ে কর্মচারীসহ ১২টি সংগঠন এরই মধ্যে যৌথ প্ল্যাটফর্মে যুক্ত হয়েছে।

সংযুক্ত পরিষদের সভাপতি বাদিউল কবির বলেন, ৩০ নভেম্বরের মধ্যে সুপারিশ জমা না হলে চাপ বাড়ানো হবে।

অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা প্রথমে বলেছিলেন, বর্তমান সরকারের মেয়াদেই পে-স্কেল কার্যকর হবে। কিন্তু পরে তিনি বলেন, নির্বাচনের পর নতুন সরকার সিদ্ধান্ত নেবে।

অর্থ উপদেষ্টার এই অবস্থান বদলের কারণে কর্মচারীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। তাদের ভাষ্য, যেহেতু অন্তর্বর্তী সরকারই পে কমিশন গঠন করেছে, তাহলে বাস্তবায়নের দায়িত্বও তাদেরই।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow