গুরুত্বপূর্ণ আলাস্কা সম্মেলনের আগে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা লাইন ভেঙে প্রবল আক্রমণ চালিয়েছে রাশিয়ান বাহিনী। ১৫ আগস্ট নির্ধারিত ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভ্লাদিমির পুতিনের বৈঠকের ঠিক আগে এই ঘটনা ঘটায় রাজনৈতিক ও সামরিক উভয় দিক থেকেই পরিস্থিতি জটিল হয়েছে।
ইউক্রেনের সৈন্যরা বলছেন, রাশিয়ার এই অগ্রযাত্রা প্রমাণ করে তারা যুদ্ধ চালিয়ে যেতে চায়। ফ্রন্টলাইনে থাকা অনেকেই আশঙ্কা করছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট এ থেকে ভুল বার্তা নিতে পারেন—যে ইউক্রেন দুর্বল, বরং আসল বার্তাটি হওয়া উচিত যে রাশিয়া নিষ্ঠুরভাবে যুদ্ধ চালাচ্ছে।
আরও পড়ুন>
- ব্যর্থতা ঢাকতে পাকিস্তানি নেতারা ভারতবিরোধী বক্তব্য দিচ্ছে
- ভারতের ওপর শুল্ক আরও বাড়ানোর হুঁশিয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের
তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধ ইউক্রেনীয় বাহিনীকে ক্লান্ত করে তুলেছে। তবুও, ট্রাম্প ও মার্কিন নেতৃত্বের মধ্যে ঘুরপাক খাওয়া ভূমি বিনিময়ের প্রস্তাবকে সবাই স্পষ্টভাবে প্রত্যাখ্যান করছে। অনেক সৈন্য মনে করেন, পশ্চাদপসরণ মানে হবে নিহত সহযোদ্ধাদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা।
আলাস্কা বৈঠকে যুদ্ধবিরতি আলোচনা ছাড়াও আমেরিকা-রাশিয়ার মধ্যে কূটনৈতিক ও ব্যবসায়িক সম্পর্ক স্বাভাবিক করার সম্ভাবনা আছে, যার মধ্যে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারও অন্তর্ভুক্ত হতে পারে। পুতিন দীর্ঘদিন ধরেই এমন আন্তর্জাতিক পুনর্বাসন চাইছেন। আর্কটিকে জ্বালানি সহযোগিতার বিষয়ও আলোচনায় আসতে পারে।
রাশিয়া শান্তির বিনিময়ে কী প্রস্তাব দেবে তা স্পষ্ট নয়। এর আগে কিছু গোপন আলোচনায় অগ্রগতি হলেও ট্রাম্প পুতিনকে হুঁশিয়ারি দেন, যুদ্ধ না থামালে বিধ্বংসী নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে। কিন্তু হোয়াইট হাউজে আরেকটি গোষ্ঠী, বিশেষ করে ট্রাম্পের ব্যবসায়িক সহযোগী স্টিভ উইটকফ, রাশিয়ার পক্ষে বেশি অনুকূল প্রস্তাব দিচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
ইউক্রেন বারবার বলেছে—পূর্ণ যুদ্ধবিরতির আগেই কোনো ভূখণ্ড ছেড়ে দেওয়া যাবে না। ইউরোপীয় নেতারাও একই অবস্থান নিয়েছেন, যদিও আশঙ্কা রয়েছে ট্রাম্প শেষ মুহূর্তে ভূমি বিনিময়ের চাপ দিতে পারেন।
সূত্র: দ্য ইকোনমিস্ট
এমএসএম