মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে আলাস্কায় শীর্ষ বৈঠকে অংশ নেওয়ার পর দেশে ফেরার পথে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের প্রতিনিধি দলকে উড়োজাহাজের জ্বালানি নিতে নগদ অর্থ পরিশোধ করতে হয়েছে। মার্কিন প্রশাসন সাময়িকভাবে নিষেধাজ্ঞা শিথিল করলেও ব্যাংকিং ব্যবস্থায় প্রবেশাধিকার না থাকায় এ পরিস্থিতি তৈরি হয় বলে এনবিসিকে জানান মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসির হিসাব অনুযায়ী, একটি দীর্ঘ-পাল্লার উড়োজাহাজের জ্বালানির খরচ বর্তমান দরে প্রায় ৮৫ হাজার ডলার। পুতিন সাধারণত তিনটি প্লেন নিয়ে ভ্রমণ করেন। সুতরাং যুক্তরাষ্ট্রে মাটিতে তাকে প্রায় ২ লাখ ৫৫ হাজার মার্কিন ডলার নগদ দিতে হয়েছে, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ৩ কোটি টাকারও বেশি।
শুধু জ্বালানি নয়, মার্কিন মাটিতে অবস্থানকালে রুশ প্রতিনিধি দল ও সঙ্গে থাকা সাংবাদিকরাও স্থানীয় মোবাইল নেটওয়ার্ক ব্যবহার বা ব্যাংক কার্ড চালাতে সক্ষম হননি।
রুবিও বলেন, যখন রাশিয়ানরা আলাস্কায় অবতরণ করেন, তখন তাদের নগদ অর্থে বিমানের জ্বালানি নিতে হয়, কারণ তারা আমাদের ব্যাংকিং ব্যবস্থা ব্যবহার করতে পারেন না। প্রতিদিনই তারা এ ধরনের পরিণতির মুখোমুখি হচ্ছে। তবে রুবিও এটিও স্বীকার করেছেন যে এসব নিষেধাজ্ঞা ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার অবস্থান পরিবর্তন করতে পারেনি।
তিনি বলেন, এর মানে এই নয় যে নিষেধাজ্ঞাগুলো অপ্রাসঙ্গিক বরং এখনো যুদ্ধের ফলাফলে কোনো পরিবর্তন আনতে পারেনি। শুক্রবার (১৫ আগস্ট) আলাস্কার অ্যাঙ্কোরেজে ট্রাম্প ও পুতিনের শীর্ষ বৈঠক আয়োজনের সুবিধার্থে মার্কিন কর্তৃপক্ষ ২০ আগস্ট পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত রুশ কর্মকর্তাদের ভ্রমণ-সীমাবদ্ধতা সাময়িকভাবে তুলে নেয়।
এ বছরের শুরুতেও ওয়াশিংটন একই ধরনের ব্যতিক্রমের অনুমতি দিয়েছিল। তখন ক্রেমলিনের বিশেষ অর্থনৈতিক দূত কিরিল দিমিত্রিয়েভকে নিষেধাজ্ঞার তালিকায় থাকা সত্ত্বেও মার্কিন রাজধানীতে ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নিতে দেওয়া হয়।
সূত্র: দ্য মস্কো টাইমস
এসএএইচ