আলোচনা ছাড়াই করা গোপন চুক্তিতে জনগণের দায় নেই : জোনায়েদ সাকি

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাজনৈতিক দল ও অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা না করে বন্দর নিয়ে গোপন চুক্তি করছে বলে অভিযোগ করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের (জিএসএ) প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। তার মতে, ভবিষ্যতে জনগণের এসব গোপন চুক্তির বিষয়ে কোনো দায় থাকবে না। শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেল ৫টায় চট্টগ্রাম নগরীর কাজীর দেউড়ি মোড়ে ‘নদী খাল পাহাড় সুরক্ষা এবং কর্মসংস্থান বান্ধব নিরাপদ, ইনসাফ ও সম্প্রীতির চট্টগ্রাম’ গড়তে মাথাল মিছিল-পূর্ব সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।  গণসংহতি আন্দোলন চট্টগ্রাম উত্তর, দক্ষিণ ও মহানগর শাখা যৌথভাবে এ কর্মসূচির আয়োজন করে। এ সময় জুনায়েদ সাকি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার মৌলিক সংস্কারগুলো এখনো প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি। অথচ চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য তৎপরতা দেখা যাচ্ছে। বন্দর একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান, যা জাতীয় নিরাপত্তার সঙ্গে যুক্ত। সরকার টিকে আছে রাজনৈতিক দল ও অংশীজনের সমর্থনের ভিত্তিতে। দেশের গুরুত্বপূর্ণ কোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে রাজনৈতিক দল ও অংশীজনের সঙ্গে সরকারের আলাপ-আলোচনা করা উচিত ছিল।  সমাবেশে গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় রাজনৈতিক পরিষদের সদ

আলোচনা ছাড়াই করা গোপন চুক্তিতে জনগণের দায় নেই : জোনায়েদ সাকি

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাজনৈতিক দল ও অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা না করে বন্দর নিয়ে গোপন চুক্তি করছে বলে অভিযোগ করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের (জিএসএ) প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। তার মতে, ভবিষ্যতে জনগণের এসব গোপন চুক্তির বিষয়ে কোনো দায় থাকবে না।

শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেল ৫টায় চট্টগ্রাম নগরীর কাজীর দেউড়ি মোড়ে ‘নদী খাল পাহাড় সুরক্ষা এবং কর্মসংস্থান বান্ধব নিরাপদ, ইনসাফ ও সম্প্রীতির চট্টগ্রাম’ গড়তে মাথাল মিছিল-পূর্ব সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। 

গণসংহতি আন্দোলন চট্টগ্রাম উত্তর, দক্ষিণ ও মহানগর শাখা যৌথভাবে এ কর্মসূচির আয়োজন করে।

এ সময় জুনায়েদ সাকি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার মৌলিক সংস্কারগুলো এখনো প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি। অথচ চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য তৎপরতা দেখা যাচ্ছে। বন্দর একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান, যা জাতীয় নিরাপত্তার সঙ্গে যুক্ত। সরকার টিকে আছে রাজনৈতিক দল ও অংশীজনের সমর্থনের ভিত্তিতে। দেশের গুরুত্বপূর্ণ কোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে রাজনৈতিক দল ও অংশীজনের সঙ্গে সরকারের আলাপ-আলোচনা করা উচিত ছিল। 

সমাবেশে গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য ও চট্টগ্রাম-৯ আসনের প্রার্থী হাসান মারুফ রুমী বলেন, দীর্ঘ লড়াই-সংগ্রামের পর মানুষ ৫ আগস্ট বাংলাদেশকে শেখ হাসিনার কর্তৃত্ব থেকে মুক্ত করেছিল। মানুষের স্বপ্ন ছিল, তারা ন্যায্য মজুরি পাবে, নিরাপত্তা পাবে, শিক্ষা-চিকিৎসা পাবে; কিন্তু বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে সব অধিকার ভূলুণ্ঠিত হয়েছে। 

সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন গণসংহতি আন্দোলন মনোনীত চট্টগ্রাম-২ আসনের প্রার্থী মিজানুর রহিম চৌধুরী, চট্টগ্রাম-৪ আসনের জাহিদুল আলম, চট্টগ্রাম-৫ আসনের কলি আক্তার, চট্টগ্রাম-৬ আসনের নাসির উদ্দীন তালুকদার, চট্টগ্রাম-১০ আসনের অপূর্ব নাথ, চট্টগ্রাম-১১ আসনের সৈয়দ সালাউদ্দিন শহীদ শিমুল প্রমুখ। সমাবেশ শেষে মিছিলটি নগরীর কাজীর দেউড়ি থেকে শুরু হয়ে আন্দরকিল্লা মোড়ে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow