আলোচনায় ইরানের হাইপারসনিক ‘ফাত্তাহ’ ক্ষেপণাস্ত্র, কেন?

3 months ago 11

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সবশেষ হামলায় ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (আইআরজিসি) যে ‘ফাত্তাহ’ হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের কথা ঘোষণা করেছে তা আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

আইআরজিসি জানিয়েছে, ফাত্তাহ ক্ষেপণাস্ত্র সফলভাবে ইসরায়েলের প্রচারিত আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেদ করেছে। যা আয়রন ডোমের পতনের সূচনা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

ইসরায়েল এখনো এই দাবির বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।

ফাত্তাহ অর্থ দ্য উদ্বোধক, এটি ইরানের প্রথম হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র। ২০২৩ সালে যা আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মোচিত হয়।

উদ্বোধনের সময় আইআরজিসির মহাকাশ শাখার প্রধান আমির আলী হাজিজাদেহ বলেছিলেন,
ফাত্তাহ ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তিতে একটি প্রজন্মগত অগ্রগতি। এটি পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের ভেতর ও বাইরে উভয় জায়গায় চলাচল করতে পারে এবং যেকোনো আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেদ করতে সক্ষম।

হাজিজাদেহ আরও দাবি করেন, ফাত্তাহকে ধ্বংস করা সম্ভব নয়, কারণ এটি বিভিন্ন দিক ও উচ্চতায় চলাচল করতে পারে এবং এর গতি অত্যন্ত বেশি।

ফাত্তাহ ক্ষেপণাস্ত্র ইরানের জন্য একটি কৌশলগত মোড় পরিবর্তনের প্রতীক, যা দেশটির আঞ্চলিক প্রতিপক্ষদের জন্য হুমকি হিসেবে দেখা হচ্ছে—বিশেষত ইসরায়েলের জন্য। তবে এর বাস্তব কার্যকারিতা নিয়ে এখনো বিতর্ক রয়েছে এবং পশ্চিমা দেশগুলো সতর্কভাবে এর কার্যকারিতা বিশ্লেষণ করছে।

এদিকে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে ঘোষণা করেছেন আলীর (হায়দারের) নামে যুদ্ধ শুরু হলো।

হায়দার নামটি ইসলামের ইতিহাসে ইমাম আলীর একটি পরিচিত উপনাম। যাকে শিয়া মুসলমানরা প্রথম ইমাম ও মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর প্রকৃত উত্তরসূরি হিসেবে মানেন।

খামেনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, সন্ত্রাসী জায়নবাদী শাসনের (ইসরায়েলের) বিরুদ্ধে আমাদের শক্তিশালী প্রতিক্রিয়া জানাতে হবে। আমরা জায়নবাদীদের প্রতি কোনো করুণা দেখাবো না।

এই মন্তব্য এমন সময় এসেছে যখন ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে উত্তেজনা চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে এবং দুই দেশের মধ্যে আরও তীব্র লড়াইয়ের আশঙ্কা বেড়ে গেছে।

সূত্র: আল-জাজিরা

এমএসএম

Read Entire Article