আলোচনায় করাচির ‘বেশরম বার্গার’ ও ‘লক পিজ্জা’

4 hours ago 4

বিশ্বজুড়ে পরিচিত কফি জায়ান্ট স্টারবাকসকে আইনি লড়াইয়ে হারিয়ে আলোচনায় এসেছে করাচিভিত্তিক স্থানীয় ক্যাফে ব্র্যান্ড সাত্তার বকশ। দীর্ঘ প্রায় ১২ বছর ধরে চলা ট্রেডমার্ক মামলা শেষে পাকিস্তানের আদালতের রায় গেছে এই স্থানীয় ব্র্যান্ডের পক্ষেই। রায়ের পর থেকেই আলোচনায় উঠে এসেছে সাত্তার বকশ— শুধু তাদের আইনি জয় নয়, বরং অভিনব মেনু ও ব্যঙ্গাত্মক নামকরণের কারণেও।

২০১৩ সালে দুই বন্ধু রিজওয়ান আহমদ ও আদনান ইউসুফ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন সাত্তার বকশ। শুরুতে নাম ও লোগো নিয়ে বিতর্কে জড়ালেও দ্রুতই তারা জনপ্রিয় হয়ে ওঠে খাবারের অভিনবত্ব দিয়ে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি দৃষ্টি কেড়েছে দুটি পদ— ‘বেশরম বার্গার’ ও ‘লক পিজ্জা’।

‘বেশরম বার্গার’ আসলে প্রচলিত বার্গার নয়। এখানে বান (পাউরুটি) ব্যবহার করা হয় না, বরং প্লেটে পরিবেশন করা হয় ভিন্ন আঙ্গিকে। তরুণদের কাছে এটি শুধু খাবার নয়, বরং প্রচলিত ধারা ভাঙার এক প্রতীক। অনেকেই একে বিদ্রোহী রুচির প্রকাশ হিসেবে দেখছেন।

অন্যদিকে ‘লক পিজ্জা’ রাজনৈতিক ব্যঙ্গের অনন্য উদাহরণ। ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ককে কেন্দ্র করে তৈরি এই পিজ্জার এক অংশ নিরামিষ, আরেক অংশ আমিষ। নামেই ফুটে ওঠে দুই দেশের সীমান্ত ও বিভাজনের প্রতীকী ইঙ্গিত। মজার এই উপস্থাপন তরুণদের কাছে যেমন রসনার তৃপ্তি জুগিয়েছে, তেমনি আড্ডার বিষয়বস্তুও হয়ে উঠেছে।

ক্যাফের মালিকদের ভাষায়, সাত্তার বকশ শুধু কফি বিক্রির জায়গা নয়; বরং এটি সংস্কৃতি, রসিকতা আর সামাজিক বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ার এক মঞ্চ। ক্যাফের সাজসজ্জা থেকে বিজ্ঞাপন— সবকিছুতেই স্পষ্ট তাদের স্থানীয় সৃজনশীলতার ছাপ।

আজ করাচিতে ‘বেশরম বার্গার’ ও ‘লক পিজ্জা’ কেবল খাবারের পদ নয়, বরং তরুণ প্রজন্মের ভিন্ন স্বাদের অনুসন্ধান এবং সামাজিক ব্যঙ্গ-বিদ্রূপ প্রকাশের প্রতীক হয়ে উঠেছে।

সূত্র : দ্য ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেস 
 

Read Entire Article