থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে রান্না করা হলো পুরান ঢাকার তেহারি। সেটা চেখে দেখলেন থাইল্যান্ডে নিযুক্ত কয়েকটি দেশের রাষ্ট্রদূতের স্ত্রীরা। তারপর প্রশংসায় মাতলেন রন্ধনশিল্পী আল্পনা হাবিবের।
গত ৬ আগস্ট ব্যাংককের বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজন করে বাংলাদেশের খাবার রান্নার কলাকৌশল তুলে ধরার একটি অনুষ্ঠান। সেখানে বাংলাদেশের নন্দিত রন্ধনশিল্পী আল্পনা হাবিবের বিশেষ রান্নার ক্লাসে অংশ নেন একঝাঁক কুলিনারি শিক্ষার্থী। আল্পনা রান্না করে দেখান নিজস্ব স্টাটার রেসিপি ‘ঘি চপ’, মিল কোর্স হিসেবে শর্ষের তেলের তেহারি এবং ডেজার্ট ‘শাহী টুকরা’। শিক্ষার্থীরা দেখে নেন রান্নার প্রণালী আর অতিথিরা তুমুল উৎসাহে সেসব মোবাইল ফোনে ধারণ করেন।
বিদেশিদের রান্না শেখাচ্ছেন আল্পনা হাবিব
রান্নার ক্লাস শেষে ছিল চেখে দেখার পালা। বুফে লাঞ্চে অংশ নেন থাইল্যান্ডে নিযুক্ত মেক্সিকো ও শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রদূত, মালদ্বীপের কূটনীতিকবৃন্দ এবং চিলি, ইতালি, মিয়ানমার, নেপাল, নিউজিল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকার রাষ্ট্রদূতেদের স্ত্রীরা। মিসেস বালবিরস কুকিং স্কুলের সহযোগিতায় আমন্ত্রিত অতিথি ছাড়াও এতে অংশ নেন ৩৬ জন কুলিনারি শিক্ষার্থী। অংশগ্রহণকারীদের হাতে সনদ তুলে দেন থাইল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ফায়াজ মুরশিদ কাজী।
ব্যাংককে রান্নার ক্লাসের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে আল্পনা হাবিব জাগো নিউজকে বলেন, ‘মিসেস বালবিরস ৫০ বছর ধরে তার কুকিং স্কুল চালান। এর আগে দুটি দেশের রাষ্ট্রদূতের স্ত্রীকে নিয়ে বিশেষ ক্লাসের আয়োজন করেছিলেন তিনি। আমার ক্লাস তাদের আগের অভিজ্ঞতাকে ছাড়িয়ে গেছে। শিক্ষার্থীরা আমার ক্লাস দারুণ উপভোগ করেছে।’
তিনি বলেন, ‘শুরুতেই আলাদা করে দেখিয়েছি বাংলাদেশের চাল, ঘি, শর্ষের তেল, গোলাপ জল। এসব দেখে ওরা মুগ্ধ। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশের সংস্কৃতি সম্পর্কেও ধারণা দিয়েছি সবাইকে। রান্নার নানান রকম টিপস তাদের ইমপ্রেস করেছে। আমার ব্যক্তিত্ব ও উপস্থাপনায় তারা মুগ্ধ হয়েছেন। এই ক্লাস থেকে আমার সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি হচ্ছে, যারা শিখলেন, তারা তৎক্ষনাৎ সিদ্ধান্ত নেন যে, একদিন তারা একসঙ্গে এই তিন পদ রান্না করে নিজেরা নিজেরা খাবেন।’
আন্তর্জাতিক পুরস্কারপ্রাপ্ত, বেস্টসেলিং কুকবুক লেখক আল্পনা হাবিব তার রান্না করা সুস্বাদু সব পদ খাইয়ে অতিথিদের মন জয় করেছেন। তার অনন্য রন্ধনশৈলী ও বহুমাত্রিক পদসম্ভার অতিথিদের মধ্যে বাংলাদেশের খাবার নিয়ে গভীর আগ্রহের সঞ্চার করেছে।
আরএমডি