খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, আমরা দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলতে চাই, সংবিধানের মূলনীতি হিসেবে ‘আল্লাহর প্রতি অবিচল আস্থা ও বিশ্বাস’, ‘জনগণের অংশীদারিত্ব ও প্রতিনিধিত্ব এবং শোষণ-জুলুম ও বৈষম্যমুক্ত আদর্শ’ থাকতে হবে।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টায় খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত নির্বাহী বৈঠকের সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন আমিরে মজলিস মাওলানা আব্দুল বাছিত আজাদ।
স্বল্প সময়ের মধ্যে ৪টি সংস্কার কমিশন প্রতিবেদন পেশ করায় সংস্কার কমিশন ও সংশ্লিষ্টদের প্রতি ধন্যবাদ জানিয়ে বক্তারা বলেন- সংবিধান, নির্বাচন, পুলিশ ও দুদক সংস্কার কমিশন কর্তৃক পৃথকভাবে যে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে তার বেশ কিছু সুপারিশ বাস্তব সম্মত ও গ্রহণযোগ্য। তবে কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাবনা দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ধর্মীয় আদর্শের বিপরীত এবং স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব সংরক্ষণে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করবে। এদেশ ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশদের হাত থেকে মুসলিম জাতীয়তাবাদ এবং ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের হাত থেকে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার প্রতিষ্ঠার ভিত্তিতে স্বাধীনতা পেয়েছিল।
সুতরাং মুসলিম জাতীয়তা ও ইসলামী মূল্যবোধকে উপেক্ষা করে এখানে কোন সংস্কার গ্রহণযোগ্য হবে না। সংবিধান সংস্কার প্রস্তাবনায় অন্যতম মূলনীতি হিসেবে উল্লেখিত ‘বহুত্ববাদ’ শব্দটি বিভ্রান্তিকর। রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে ‘ইসলাম’ অক্ষুণ্ন রাখা এবং কুরআন ও সুন্নাহ বহির্ভূত কোনো আইন প্রণয়ন করা যাবে না তার নিশ্চয়তা থাকতে হবে।
সরকারকে সংশ্লিষ্ট অংশীজন বিশেষ করে নিবন্ধিত সকল রাজনৈতিক দলকে সঙ্গে নিয়ে সংস্কার প্রস্তাবনাগুলো আরও যাচাই-বাছাই করতে হবে। জুলাই গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে বিভেদ নয় ঐক্য, কল্যাণমূলক রাষ্ট্র এই প্রতিপাদ্যে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। পতিত স্বৈরাচার কর্তৃক দেশ ও দেশের মানুষকে বিভক্ত করার মিথ্যা বয়ানগুলো পরিহার করতে হবে।
মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদেরের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত উক্ত নির্বাহী বৈঠকে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- নায়েবে আমির মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন, মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, অধ্যাপক আবদুল্লাহ ফরিদ, যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসাইন, ড. মোস্তাফিজুর রহমান ফায়সালা, অধ্যাপক আবদুল জলিল, প্রশিক্ষণ সম্পাদক অধ্যাপক কাজী মিনহাজুল আলম, বায়তুলমাল সম্পাদক আবু সালেহীন, সমাজকল্যাণ সম্পাদক ডা. রিফাত হোসেন মালিক, প্রচার ও তথ্য সম্পাদক প্রকৌশলী আবদুল হাফিজ খসরু, সাহাব উদ্দিন আহমদ খন্দকার, মুফতি আবদুল হক আমিনী, জিল্লুর রহমান, আলহাজ ফয়জুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট শায়খুল ইসলাম, আলহাজ আমিনুর রহমান ফিরোজ, অধ্যাপক মাওলানা আজিজুল হক, আলহাজ নুর হোসেন, হাফেজ নুরুল হক প্রমুখ।