আশুলিয়ায় মরদেহ পোড়ানোর মামলার বিচার শুরু, সাক্ষ্য ১৪ সেপ্টেম্বর

3 hours ago 3

জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় সাভারের আশুলিয়ায় গুলি করে ৬ জনের লাশ পোড়ানো এবং ৪ আগস্ট একজনকে হত্যার ঘটনায় করা মামলার অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২। একইসঙ্গে, আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর এই মামলার সূচনা বক্তব্য উপস্থাপন ও সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এই আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্য হলেন- বিচারপতি মো. মঞ্জুরুল বাছিদ এবং বিচারপতি নূর মোহাম্মদ শাহরিয়ার কবীর।

এই মামলায় মোট ১৬ জন আসামি রয়েছেন। তাদের মধ্যে গ্রেফতারকৃত আট আসামি ট্রাইব্যুনালের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। এদের মধ্যে সাতজন নিজেদের নির্দোষ দাবি করলেও, এসআই শেখ আবজালুল হক দোষ স্বীকার করেছেন। ট্রাইব্যুনাল তার এই দোষ স্বীকারের বিষয়টি গ্রহণ করেছেন।

এই মামলায় প্রসিকিউসন পক্ষে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম ও প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম শুনানি করেন। এছাড়া এই শুনানিতে অন্যান্য প্রসিকিউটর ও আসামিদের আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।

গত ২ জুলাই এই মামলায় ১৬ জনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) আমলে নেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্র্যাইব্যুনাল-২। ১৬ আসামি মধ্যে গ্রেফতারকৃত ৮ আসামি ট্রাইব্যুনালের কাঠগড়ায় হাজির ছিলেন।

তারা হলেন- ঢাকা জেলার সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. আব্দুল্লাহিল কাফী, ঢাকা জেলা পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত সুপার (সাভার সার্কেল) মো. শাহিদুল ইসলাম, পরিদর্শক আরাফাত হোসেন, এসআই মালেক, এসআই আরাফাত উদ্দিন, এএসআই কামরুল হাসান, এসআই শেখ আবজালুল হক ও কনস্টেবল মুকুল।

গত বছরের ৫ আগস্ট আশুলিয়ায় এই নৃশংস ঘটনা ঘটে। মামলার প্রধান প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, পুলিশ সদস্যরা ছয়জন তরুণকে গুলি করে হত্যার পর তাদের লাশ পুলিশ ভ্যানে তুলে আগুন ধরিয়ে দেয়। সবচেয়ে ভয়াবহ বিষয় হলো, যখন লাশগুলো পোড়ানো হচ্ছিল, তখন একজন জীবিত ব্যক্তির গায়েও পেট্রোল ঢেলে আগুন দেওয়া হয়। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে গত ১১ সেপ্টেম্বর মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলাটি করা হয়।

এফএইচ/কেএইচকে/জেআইএম

Read Entire Article