আসল জাফরান চেনার সহজ কৌশল
রান্নার স্বাদ ও গন্ধ বাড়াতে জাফরানের তুলনা নেই। দাম যতই বেশি হোক এর চাহিদা কমে না। শুধু স্বাদ নয়, জাফরান পুষ্টিগুণেও ভরপুর। তবে বাজারে নকল জাফরান দেখা যায়। অনেক সময় আমাদের দেশে জাফরানের পরিবর্তে কুসুম ফুল ব্যবহার করা হয়। এটিকে জাফরান হিসেবে বিক্রি করে ক্রেতাদের ঠকানো হয়। নকল জাফরান মসলার রং করার ক্ষমতার কারণে অনেক সময় আসল জাফরান মনে হয় এবং অনেকে ধোঁকা খান। তাই কেনার আগে কিছু সহজ উপায়ে আসল জাফরান চেনা জরুরি। আসুন জেনে নেওয়া যাক কীভাবে আসল জাফরান চিনবেন- ১. রং ছড়ানোর পরীক্ষা করেএকটি গ্লাসে হালকা গরম পানি নিয়ে এতে কিছু জাফরান ছেড়ে দিন। খাঁটি জাফরান খাঁটি হলে ধীরে ধীরে হলুদ বা হলুদাভ রঙ ছড়াবে। আর যদি নকল হয় তাহলে জাফরান পানিতে পড়া মাত্রই দ্রুত গাঢ় লাল রঙ ছাড়তে শুরু করবে। রাসায়নিক রঙ মিশ্রিত নকল জাফরান শরীরে ক্যানসারসহ নানা ধরনের সমস্যা তৈরি করতে পারে। তাই জাফরান বেছে নেওয়ার সময় সতর্ক থাকা জরুরি। ২. গন্ধ দিয়ে চেনাখাঁটি জাফরানের রং উজ্জ্বল লাল এবং এতে কমলা-লাল দাগ থাকতে পারে। তবে কোনো বিবর্ণ বা বাদামি দাগ থাকবে না। খাঁটি জাফরানের একটি বিশেষ, তীক্ষ্ণ এবং প্রাকৃতিক ফুলের মতো গন্ধ থাকে। অনে
রান্নার স্বাদ ও গন্ধ বাড়াতে জাফরানের তুলনা নেই। দাম যতই বেশি হোক এর চাহিদা কমে না। শুধু স্বাদ নয়, জাফরান পুষ্টিগুণেও ভরপুর।
তবে বাজারে নকল জাফরান দেখা যায়। অনেক সময় আমাদের দেশে জাফরানের পরিবর্তে কুসুম ফুল ব্যবহার করা হয়। এটিকে জাফরান হিসেবে বিক্রি করে ক্রেতাদের ঠকানো হয়। নকল জাফরান মসলার রং করার ক্ষমতার কারণে অনেক সময় আসল জাফরান মনে হয় এবং অনেকে ধোঁকা খান।
তাই কেনার আগে কিছু সহজ উপায়ে আসল জাফরান চেনা জরুরি। আসুন জেনে নেওয়া যাক কীভাবে আসল জাফরান চিনবেন-
১. রং ছড়ানোর পরীক্ষা করে
একটি গ্লাসে হালকা গরম পানি নিয়ে এতে কিছু জাফরান ছেড়ে দিন। খাঁটি জাফরান খাঁটি হলে ধীরে ধীরে হলুদ বা হলুদাভ রঙ ছড়াবে। আর যদি নকল হয় তাহলে জাফরান পানিতে পড়া মাত্রই দ্রুত গাঢ় লাল রঙ ছাড়তে শুরু করবে। রাসায়নিক রঙ মিশ্রিত নকল জাফরান শরীরে ক্যানসারসহ নানা ধরনের সমস্যা তৈরি করতে পারে। তাই জাফরান বেছে নেওয়ার সময় সতর্ক থাকা জরুরি।
২. গন্ধ দিয়ে চেনা
খাঁটি জাফরানের রং উজ্জ্বল লাল এবং এতে কমলা-লাল দাগ থাকতে পারে। তবে কোনো বিবর্ণ বা বাদামি দাগ থাকবে না। খাঁটি জাফরানের একটি বিশেষ, তীক্ষ্ণ এবং প্রাকৃতিক ফুলের মতো গন্ধ থাকে। অনেকটা হালকা মধু ও মাটির মেশানো ঘ্রাণের মতো ।
অন্যদিকে নকল জাফরান সাধারণত রাসায়নিকের তীব্র কৃত্রিম গন্ধযুক্ত বা কোনো গন্ধই থাকে না। এতে ঘ্রাণের মিষ্টতা বা প্রাকৃতিক সুগন্ধ পাওয়া যায় না।
৩. স্পর্শ করে
আসল জাফরান খসখসে ও অসমান হয়। ডগার দিকটি একটু গাঢ় রঙের হয়। আঙুলে নিয়ে ঘষলে এটি সহজে ভেঙে যায়।
নকল জাফরান বেশিরভাগ সময় মসৃণ, একরকম লম্বা এবং রংও প্রায় সমান থাকে। আঙুলে ঘষলে প্লাস্টিকের মতো অনুভূত হয়। প্রাকৃতিক জাফরানে এমন সমানতা পাওয়া যায় না।
৪. কাগজে চাপ দিয়ে
ভেজা জাফরান টিস্যু বা সাদা কাগজে চাপ দিন। যদি কাগজে রং লেগে যায়, তবে নকল হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। খাঁটি জাফরান কাগজে রঙ ছড়ায় না, কিন্তু নকল হলে রং লেগে যায়।
৫. আগুনে পুড়িয়ে
একটি জাফরান হালকা আগুনে ধরুন। আসল জাফরান পুড়ে যাওয়া ঘাস বা পাতার মতো প্রাকৃতিক গন্ধ হবে। নকল জাফরান পুড়ে গেলে রঙিন কাগজ বা প্লাস্টিক পোড়ার মতো কৃত্রিম গন্ধ পাওয়া যাবে।
৬. বেকিং সোডায় পরীক্ষা করে
এক চিমটি জাফরান বেকিং সোডা মিশ্রিত পানিতে দিন। খাঁটি জাফরান হলুদ রং ধারণ করবে। নকল জাফরান অন্য কোনো অস্বাভাবিক রং ধারণ করবে।
সূত্র: ইন্ডিয়ান ফুড ফ্রিক, টাইমস অব ইন্ডিয়া
আরও পড়ুন
অ্যালুমিনিয়াম ফয়েলে খাবার রাখা কতটা নিরাপদ?
হলুদ বেশি পড়ে গেছে, উপায় কী
এসএকেওয়াই/জেআইএম
What's Your Reaction?