আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা একটি অনলাইন পোর্টাল উদ্বোধন করেছেন, যার মাধ্যমে সংবেদনশীল এলাকায় বসবাসরত আদিবাসী জনগণ অস্ত্রের লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে পারবেন। মূলত এই উদ্যোগের লক্ষ্য হলো সীমান্ত বা ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসকারী মানুষের মধ্যে নিরাপত্তাবোধ তৈরি করা।
শর্মা জানান, অস্ত্রের লাইসেন্স কেবলমাত্র বহুস্তরীয় যাচাই-বাছাইয়ের পরই প্রদান করা হবে। জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে চিহ্নিত বা অনুমোদিত নিরাপত্তা সংস্থার মূল্যায়নে ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচিত ব্যক্তিরাই এই লাইসেন্স পাওয়ার যোগ্য হবেন। এছাড়া যাদের কোনো অপরাধমূলক অতীত নেই এবং মানসিকভাবে সুস্থ, কেবল তারাই আবেদন করতে পারবেন।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের রাজ্যে বেশ কিছু ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা আছে, বিশেষ করে সীমান্তবর্তী অঞ্চলে। সীমান্তের মানুষ বহু সময় নিরাপত্তা সমস্যার সম্মুখীন হন। দীর্ঘদিনের সশস্ত্র বিদ্রোহের কারণে আমরা বন্দুকের লাইসেন্স দেওয়ায় খুবই সীমিত ছিলাম, কিন্তু এখন বিদ্রোহ প্রায় নেই, অপরাধ পরিস্থিতিও উন্নত হয়েছে। তাই আমরা বন্দুকের অনলাইন রেজিস্ট্রেশন চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
এটিকে ধর্মনিরপেক্ষ প্রকল্প উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, আবেদনকারীকে অবশ্যই রাজ্যের আদিবাসী ও মূল অধিবাসী হতে হবে। যার তিন প্রজন্ম ধরে ভারতে বসবাসের প্রমাণ রয়েছে, তাকেই বিবেচনা করা হবে।
সরকারি সূত্রে জানা গেছে, বারপেটা, ধিং, ধুবরি, জানিয়া, মরিগাঁও, নগাঁও, রুপাহী ও দক্ষিণ সালমারা-মানকাচরকে ঝুঁকিপূর্ণ ও দুর্গম এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
তবে বিরোধী দল এই উদ্যোগের তীব্র সমালোচনা করে একে চরম নিন্দনীয় বলে আখ্যা দিয়েছে।
সূত্র: এনডিটিভি
এমএসএম