আড়াইগুণ প্রতিষ্ঠানের দরপতনে বাজার মূলধন কমলো ৩ হাজার কোটি টাকা

5 hours ago 5

গত সপ্তাহজুড়ে লেনদেন হওয়া যতগুলো প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে, তার আড়াইগুণ বেশি প্রতিষ্ঠানের দরপতন হয়েছে। এতে মূল্যসূচক ও বাজার মূলধনের পতন হয়েছে। একই সঙ্গে কমেছে লেনদেনের গতি। প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন ৩ হাজার কোটি টাকার ওপরে কমেছে।

গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেন হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ১০২টির স্থান হয়েছে দাম বাড়ার তালিকায়। বিপরীতে দাম কমেছে ২৬০টির। এছাড়া ৩৫টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এতে সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের লেনদেন শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ২৪ হাজার ৬১২ কোটি টাকা। যা আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৭ লাখ ২৭ হাজার ৭৯২ কোটি টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ৩ হাজার ১৮০ কোটি টাকা বা শূন্য দশমিক ৪৪ শতাংশ।

এর আগের দুই সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন বাড়ে ১৯ হাজার ৬১১ কোটি টাকা। বাজার মূলধন বাড়া বা কমার অর্থ ডিএসইতে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ার ও ইউনিটের দাম সম্মিলিতভাবে ওই পরিমাণ বেড়েছে বা কমেছে। অর্থাৎ গত সপ্তাহে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ার ও ইউনিটের দাম সম্মিলিতভাবে ৩ হাজার ১৮০ কোটি টাকা কমেছে।

গত সপ্তাহে বাজার মূলধন কমার পাশাপাশি সবকয়টি মূল্যসূচকের পতন হয়েছে। ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স সপ্তাহজুড়ে কমেছে ৯০ দশমিক ৫০ পয়েন্ট বা এক দশমিক ৬১ শতাংশ। এর আগে টানা তিন সপ্তাহ সূচকটি বাড়ে। তিন সপ্তাহ ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক বাড়ে ২৬৪ দশমিক শূন্য ৩ পয়েন্ট।

অপর দুই সূচকের মধ্যে বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক গত সপ্তাহজুড়ে কমেছে ৩১ দশমিক ৬৮ পয়েন্ট বা এক দশমিক ৪৫ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি বাড়ে ২৫ দশমিক ৭৭ পয়েন্ট বা এক দশমিক ১৯ শতাংশ।

এছাড়া ইসলামি শরিয়াহ ভিত্তিতে পরিচালিত কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই শরিয়াহ সূচক গত সপ্তাহজুড়ে কমেছে ৩৩ দশমিক ৭৫ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৭৪ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি বাড়ে ২২ দশমিক ৮৬ পয়েন্ট বা এক দশমিক ৮৯ শতাংশ।

গত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেনের গতিও কমেছে। সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে এক হাজার ১৪৯ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় এক হাজার ২৯৮ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন কমেছে ১৪৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকা বা ১১ দশমিক ৪৫ শতাংশ।

সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে রবির শেয়ার। কোম্পানিটির শেয়ার প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে ৪৪ কোটি ৫১ লাখ টাকা, যা মোট লেনদেনের ৩ দশমিক ৮৭ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগের শেয়ার প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে ৩৬ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। প্রতিদিন গড়ে ৩৩ কোটি ৫৬ লাখ টাকা লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে খান ওরিয়ন ইনফিউশন।

এছাড়া লেনদেনের শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- ব্র্যাক ব্যাংক, ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, সিটি ব্যাংক, ই-জেনারেশন, ডমিনেজ স্টিল বিল্ডিং, লাভেলো আইসক্রিম এবং রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স।

এমএএস/কেএসআর/এএসএম

Read Entire Article