ই-অরেঞ্জ বিডির সিইও আমান উল্লাহ দুদিনের রিমান্ডে

2 months ago 6

বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনায় বিমানবন্দর থানার হত্যাচেষ্টা মামলায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জ বিডির নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ও যুবলীগ নেতা আমান উল্লাহ চৌধুরীর দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

শনিবার (২৮ জুন) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়া উদ্দিন আহমেদ শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। এর আগে তাকে আদালতে হাজির করে মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা বিমান বন্দর থানার উপপরিদর্শক (নিরস্ত্র) মাজেদুল ইসলাম ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

রিমান্ড আবেদন থেকে জানা গেছে, ২০২১ সালের ১৫ আগস্ট বিএনপির নয়াপল্টনের পার্টি অফিসে চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রোগমুক্তির উপলক্ষে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। ওই অনুষ্ঠানে যোগদানের জন্য মামলার ভিকটিমসহ নেতাকর্মীরা বিমানবন্দর থেকে পল্টনের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এসময় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা দেশীয় অস্ত্রসহ অতর্কিত আক্রমণ করে অনুষ্ঠানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে, এলোপাতাড়ি বিএনপির নেতাকর্মীদের আঘাত করতে থাকে। ১৪ নম্বর আসামির হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে ভিকটিমকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় সজোরে আঘাত করলে মাথা ফেটে যায়। এসময় মামলার সাক্ষীরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে বিমানবন্দর সংলগ্ন ফুটওভার ব্রিজের নিচে দাঁড়ানো অবস্থায় ৩৪ ও ৩৫ নম্বর আসামি সিএনজিচালিত অটোরিকশা আটকিয়ে ভিকটিমসহ সাক্ষীদের টানা-হেঁচড়া বের করে মারধর করে।এসময় আওয়ামী লীগের এজাহারনামীয় ৬১-১০৮ নম্বর আসামিসহ অজ্ঞাতনামা আসামিরা সাক্ষী ও ভিকটিমের ওপর আক্রমণ করে এলোপাতাড়ি মারধর করে। টহলে থাকা পুলিশ সদস্যরা ভিকটিম ও সাক্ষীদের উদ্ধার করে অটোরিকশায় তুলে দেয়। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাশেষে সুস্থ হন মামলার ভিক্টিম।

মামলার তদন্তের স্বার্থে আসামিকে ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়া প্রয়োজন। এ ঘটনায় এ বছরের ২০ জুন বিমানবন্দর থানায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১০৮ জনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সাদ্দাম। মামলায় আমান উল্লাহ ৮৩ নম্বর এজাহারনামীয় আসামি।

ই-অরেঞ্জের প্রতারণার মামলায় ২০২১ সালে ১৮ আগস্ট আমান উল্লাহকে গ্রেফতার করে গুলশান থানা পুলিশ। তখন ই-অরেঞ্জের মালিক গুলশান থানার তৎকালীন পরিদর্শক (তদন্ত) সোহেল রানা ভারতে পালিয়ে যান। সোহেল রানার বোন সোনিয়া মেহজাবিন ও তার স্বামী মাসুকুর রহমানসহ পাঁচজনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিলেন আদালত। সেই সময় সোনিয়া মেহজাবিন ও মাসুকুর রহমানের বিরুদ্ধে ই-কমার্সের নামে ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে এক গ্রাহক বাদী হয়ে মামলা করেন। ওই মামলায় পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠায়। সেই মামলারও আসামি আমান উল্লাহ। এছাড়া তার বিরুদ্ধে ২৩টি মামলা রয়েছে।

এমআইএন/এমএএইচ/জেআইএম

Read Entire Article