ইংল্যান্ডকে বিধ্বস্ত করেই সেমিতে প্রোটিয়ারা

2 hours ago 7

যে অল্প অবিশ্বাস্য শঙ্কা ছিল তা দূর করে একেবারে দাপটের সঙ্গেই ইংল্যান্ডকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালে জায়গা নিশ্চিত করলো। করাচিতে অনুষ্ঠিত ম্যাচে ইংল্যান্ডকে মাত্র ১৭৯ রানে অলআউট করে প্রোটিয়ারা ৭ উইকেটের বিশাল জয় তুলে নেয়। বোলারদের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পর হেনরিখ ক্লাসেন ও রাসি ভ্যান ডার ডুসেনের ব্যাটে ভর করেই ৩০তম ওভারের মধ্যেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা।

প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ইংলিশরা শুরু থেকেই চাপে পড়ে যায়। দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার মার্কো ইয়ানসেন দুর্দান্ত বোলিং করে ইংল্যান্ডের টপ-অর্ডার গুঁড়িয়ে দেন। তিনি ৩৯ রানে ৩ উইকেট নেন, যার মধ্যে ছিলেন ফিল সল্ট, জেমি স্মিথ ও বেন ডাকেট। এরপর জো রুট ও হ্যারি ব্রুক ৬২ রানের জুটি গড়লেও সেটা বেশি দূর গড়ায়নি। কেশব মহারাজ ব্রুককে ফিরিয়ে দিলে ইংল্যান্ডের ব্যাটিং ধস নামে। রুটও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি, উইয়ান মুলডারের বলে বোল্ড হন তিনি।

জস বাটলার ও জফরা আর্চার কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করলেও মুলডার তাদের আশা গুড়িয়ে দেন। ৭.২ ওভারে মাত্র ২৫ রানে ৩ উইকেট নিয়ে তিনি ইংল্যান্ডকে ৩৮.২ ওভারে ১৭৯ রানে অলআউট করতে বড় ভূমিকা রাখেন।

জয়ের জন্য ১৮০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকাও শুরুতে কিছুটা চাপে পড়ে। জোফ্রা আর্চার পাওয়ারপ্লেতেই দুই উইকেট তুলে নিয়ে ইংল্যান্ডকে ম্যাচে ফেরানোর চেষ্টা করেন। ট্রিস্টান স্টাবস মাত্র ৫ বলে শূন্য রানে আউট হন, রায়ান রিকেলটনও বেশিক্ষণ টেকেননি। তবে এরপরই দৃশ্যপট বদলে দেন রাসি ভ্যান ডার ডুসেন ও হেনরিখ ক্লাসেন।

দুজন মিলে ১২৭ রানের অনবদ্য জুটি গড়ে ইংল্যান্ডের সব আশার মৃত্যু ঘটান। ক্লাসেন ৪১ বলে হাফ-সেঞ্চুরি তুলে নেন এবং ৬৪ রান করে আউট হন। অন্যদিকে, ভ্যান ডার ডুসেন ৭২ রানে অপরাজিত থেকে দলকে সহজ জয় এনে দেন। শেষ দিকে ডেভিড মিলার ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচ শেষ করেন।

এই হারের ফলে ইংল্যান্ডের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি অভিযান হতাশাজনকভাবে শেষ হলো, অন্যদিকে দক্ষিণ আফ্রিকা সেমিফাইনালে পৌঁছে গেল দারুণ আত্মবিশ্বাস নিয়ে।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

ইংল্যান্ড ১৭৯ (৩৮.২ ওভার) – জো রুট ৩৭; উইয়ান মুলডার ৩/২৫, মার্কো জ্যানসেন ৩/৩৯, কেশব মহারাজ ২/৩৫

দক্ষিণ আফ্রিকা ১৮১/৩ (২৯.১ ওভার) – রাসি ভ্যান ডার ডুসেন ৭২*, হেনরিখ ক্লাসেন ৬৪; জোফ্রা আর্চার ২/৫৫

ফল: দক্ষিণ আফ্রিকা ৭ উইকেটে জয়ী

Read Entire Article