ইউক্রেনে শক্তি প্রয়োগ করে লক্ষ্য পূরণের হুঁশিয়ারি পুতিনের

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন যদি শান্তিপূর্ণ সমাধানে আগ্রহ না দেখায়, তাহলে রাশিয়া শক্তি প্রয়োগ করেই যুদ্ধের সব লক্ষ্য অর্জন করবে। শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা তাসকে দেওয়া বক্তব্যে পুতিন বলেন, ইউক্রেন শান্তির পথে এগোতে তাড়াহুড়া করছে না। তিনি এই মন্তব্য করেন রাশিয়ার বড় ধরনের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর। ওই হামলার পর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, রাশিয়া যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছাই দেখাচ্ছে, আর ইউক্রেন শান্তি চায়। জেলেনস্কির রোববার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ফ্লোরিডায় বৈঠক করার কথা রয়েছে। সেখানে তিনি প্রায় চার বছর ধরে চলা এই যুদ্ধের একটি সমাধান খুঁজতে আলোচনা করবেন। এদিকে ক্রেমলিন জানিয়েছে, একটি পরিদর্শন সফরে রুশ সামরিক কমান্ডাররা পুতিনকে জানান, ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চল দোনেৎস্ক অঞ্চলে মিরনোহরাদ, রোদিনস্কে ও আরতেমিভকা শহর দখল করেছে রুশ বাহিনী। পাশাপাশি জাপোরিঝঝিয়া অঞ্চলের হুলিয়াইপোল ও স্টেপনোহিরস্ক শহরও তাদের নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে দাবি করা হয়। তবে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী এসব দাবির কিছু অংশ অস্বীকার করেছে। তারা

ইউক্রেনে শক্তি প্রয়োগ করে লক্ষ্য পূরণের হুঁশিয়ারি পুতিনের

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন যদি শান্তিপূর্ণ সমাধানে আগ্রহ না দেখায়, তাহলে রাশিয়া শক্তি প্রয়োগ করেই যুদ্ধের সব লক্ষ্য অর্জন করবে।

শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা তাসকে দেওয়া বক্তব্যে পুতিন বলেন, ইউক্রেন শান্তির পথে এগোতে তাড়াহুড়া করছে না। তিনি এই মন্তব্য করেন রাশিয়ার বড় ধরনের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর। ওই হামলার পর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, রাশিয়া যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছাই দেখাচ্ছে, আর ইউক্রেন শান্তি চায়।

জেলেনস্কির রোববার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ফ্লোরিডায় বৈঠক করার কথা রয়েছে। সেখানে তিনি প্রায় চার বছর ধরে চলা এই যুদ্ধের একটি সমাধান খুঁজতে আলোচনা করবেন।

এদিকে ক্রেমলিন জানিয়েছে, একটি পরিদর্শন সফরে রুশ সামরিক কমান্ডাররা পুতিনকে জানান, ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চল দোনেৎস্ক অঞ্চলে মিরনোহরাদ, রোদিনস্কে ও আরতেমিভকা শহর দখল করেছে রুশ বাহিনী। পাশাপাশি জাপোরিঝঝিয়া অঞ্চলের হুলিয়াইপোল ও স্টেপনোহিরস্ক শহরও তাদের নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে দাবি করা হয়।

তবে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী এসব দাবির কিছু অংশ অস্বীকার করেছে। তারা বলেছে, হুলিয়াইপোল ও মিরনোহরাদ নিয়ে রাশিয়ার দাবি সত্য নয়। পরিস্থিতি কঠিন হলেও সেখানে ইউক্রেনীয় বাহিনীর প্রতিরক্ষা কার্যক্রম এখনো চলছে।

ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় সামরিক কমান্ড জানিয়েছে, হুলিয়াইপোলে তীব্র লড়াই চলছে, তবে শহরের একটি বড় অংশ এখনও ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

যুদ্ধক্ষেত্রের তথ্য যাচাই করা কঠিন বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো, কারণ উভয় পক্ষই তথ্য কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে এবং পরিস্থিতি দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে।

সূত্র: রয়টার্স

এমএসএম

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow