কেশবপুরের সাগরদাঁড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী মুস্তাফিজুল ইসলামের কক্ষে স্থানীয় ছাত্র-জনতার তালা দেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের ভেতর সংঘর্ষ ঘটেছে। বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) উপজেলার ২নং সাগরদাঁড়ি ইউনিয়ন পরিষদে তালা দেওয়ার পরে দুপুরে এ সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে। দুপক্ষের ভেতর সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ১৮ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, উপজেলার সাগরদাঁড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মুস্তাফিজুল ইসলাম মুক্ত নিয়মিত ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন। বুধবার সকালে স্থানীয় ছাত্র-জনতা ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে চেয়ারম্যানের কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেয়। বিষয়টি জানতে পেরে সাধারণ মানুষ ইউনিয়ন পরিষদের সামনে উপস্থিত হয়ে তালা খুলে দেওয়ার দাবি জানায়। এ সময় দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হলে উভয়পক্ষের অন্তত ১৮ জন আহত হন। আহতদের উদ্ধার ভেতর ৯ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতরা হলেন- ছাত্র-জনতার পক্ষের ইউনুস হোসেন, আবু সাঈদ, মেহেদী হাসান রনি, সাগর, রকি, গোলাম মোস্তফা, আকাশ, নাঈম এবং চেয়ারম্যানের পক্ষের তার ভাই কাজী মুজাহিদুল ইসলাম পান্না ও কাজী মাজহারুল ইসলাম সোনা। আহত অন্যরা অন্যত্র চিকিৎসা নিয়েছেন।
যশোর জেলা ছাত্রদলের সহসভাপতি উপজেলার সাগরদাঁড়ি ইউনিয়নের মজনু হোসাইন বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান কাজী মুস্তাফিজুল ইসলাম মুক্ত আওয়ামী লীগ করায় স্থানীয়ভাবে শেখ হাসিনার পক্ষে কাজ করছেন। এমন খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে ছাত্র-জনতা ঐক্যবদ্ধ হয়ে ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে চেয়ারম্যানের কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেয়। এ সময় চেয়ারম্যানের পক্ষের লোকজন এসে ছাত্র-জনতার উপর হামলা করে। এ সময় আহতদের কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করাসহ স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
সাগরদাঁড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী মুস্তাফিজুল ইসলাম মুক্ত বলেন, তিনি নিয়মিত ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন। বুধবার ইউনিয়ন পরিষদ বন্ধ থাকার সুযোগে তার প্রতিপক্ষরা পরিষদের চেয়ারম্যানের কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেয়। এ সময় এলাকার সাধারণ জনতা তালা খুলে দেওয়ার দাবিতে ইউনিয়ন পরিষদের সামনে জড়ো হলে তাদের উপর হামলা করা হয়। হামলায় তার আপন দুই ভাইসহ সাতজন আহত হয়েছে।
এ ব্যাপারে কেশবপুর থানার ওসি আনোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, সাগরদাঁড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কক্ষে তালা লাগানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি শান্ত করে। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।