নেত্রকোনায় ইউনিয়ন পরিষদের (সংরক্ষিত) সদস্যকে ধর্ষণের অভিযোগে মো. সুজন মিয়া (৩৫) নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। গত ২২ অক্টোবর নেত্রকোনা মডেল থানায় এ ঘটনায় মামলা হয়। তবে মামলার পর থেকে পলাতক রয়েছে সুজন।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) নেত্রকোনা মডেল থানার ওসি কাজী শাহনেওয়াজ মামলার বিষয়টি কালবেলাকে নিশ্চিত করেছেন।
অভিযুক্ত সুজন মিয়া জেলা সদরের সাতবেরিকান্দা গ্রামের মো. শুক্কুর মিয়ার ছেলে। তিনি আটপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে কম্পিউটার অপারেটর কাম মুদ্রাক্ষরিক পদে কর্মরত ছিলেন। সম্প্রতি তিনি মদন উপজেলায় বদলি হলেও সেখানে যোগ দেননি।
মামলার এজাহারে ওই নারী ইউপি সদস্য জানান, তিনি জেলা শহরে একটি ভাড়া বাসায় থাকেন। অভিযুক্ত সুজন তার পূর্বপরিচিত। সেই সুবাদে সুজন প্রায়ই তার বাসায় আসা-যাওয়া করত। প্রায়ই সুজন তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। তবে পাত্তা দেননি তিনি।
একপর্যায়ে গত ১১ অক্টোবর রাতে সুজন নানা বাহানায় ঘরে ঢুকে গামছা দিয়ে মুখ বেঁধে তাকে ধর্ষণ করে। পরে এ ঘটনায় ২২ অক্টোবর তিনি থানায় মামলা করেন।
এ বিষয়ে জানতে মো. সুজন মিয়ার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে কল করা হলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।
নেত্রকোনা মডেল থানার ওসি কাজী শাহনেওয়াজ বলেন, মামলার পর থেকে এতদিন ধরে সুজন মিয়া পলাতক ছিল। শুনেছি আজ (মঙ্গলবার) সে আদালত থেকে জামিন নিয়েছে। তবে বিষয়টি নিশ্চিত হতে পারিনি।