ইউরোপের ২৯ দেশে বেড়েছে সাইবার বুলিং, নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ

ইউরোপে শিশু ও কিশোরদের মধ্যে সাইবার বুলিং (অনলাইনে হয়রানি) সমস্যা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট (ওইসিডি)-এর ২০২৫ সালের নতুন রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশভেদে হয়রানির মাত্রা ভিন্ন হলেও ২৯টি দেশের সব কয়টিতে উঠতি বয়সিরা অনলাইনে হয়রানির শিকার হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি সাইবারবুলিং হওয়া দেশের মধ্যে রয়েছে-লিথুয়ানিয়া, লাটভিয়া, পোল্যান্ড, ইংল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, হাঙ্গেরি, এস্তোনিয়া, স্কটল্যান্ড, সুইডেন, ফিনল্যান্ড ও ডেনমার্ক। ইউরোপীয় এসব দেশে সাইবারবুলিং-এর হার গড়ে ১৫ দশমিক ৫ শতাংশের চেয়ে বেশি। অন্যদিকে স্পেন, পর্তুগাল, গ্রিস, ফ্রান্স, জার্মানি ও ইতালিতে এ হার অপেক্ষাকৃত কম। রিপোর্টে বলা হয়েছে, অনলাইনে হুমকিপূর্ণ মেসেজ, ই-মেইল বা টেক্সট প্রেরণ, যৌন হয়রানি করতে ডিপফেক নগ্ন ছবি পোস্ট, ওয়ালে অপমানজনক পোস্ট, ওয়েবসাইট তৈরি করে কারো ঠাট্টা করা, অনুমতি ছাড়া অনলাইন ছবি বা ভিডিও শেয়ার করা ইত্যাদি কর্মকাণ্ডের সংখ্যা বাড়ছে। ডাবলিন সিটি ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক জেমস ও’হিগিনস নরম্যান বলেন, প্রযুক্তি, সংস্কৃতি এবং প্রতিষ্ঠানগত ব্যবস্থার সমন্বয় দেশগুলোর মধ্যে সাইবারবুলিংয়ের মাত্র

ইউরোপের ২৯ দেশে বেড়েছে সাইবার বুলিং, নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ

ইউরোপে শিশু ও কিশোরদের মধ্যে সাইবার বুলিং (অনলাইনে হয়রানি) সমস্যা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট (ওইসিডি)-এর ২০২৫ সালের নতুন রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশভেদে হয়রানির মাত্রা ভিন্ন হলেও ২৯টি দেশের সব কয়টিতে উঠতি বয়সিরা অনলাইনে হয়রানির শিকার হচ্ছে।

সবচেয়ে বেশি সাইবারবুলিং হওয়া দেশের মধ্যে রয়েছে-লিথুয়ানিয়া, লাটভিয়া, পোল্যান্ড, ইংল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, হাঙ্গেরি, এস্তোনিয়া, স্কটল্যান্ড, সুইডেন, ফিনল্যান্ড ও ডেনমার্ক। ইউরোপীয় এসব দেশে সাইবারবুলিং-এর হার গড়ে ১৫ দশমিক ৫ শতাংশের চেয়ে বেশি। অন্যদিকে স্পেন, পর্তুগাল, গ্রিস, ফ্রান্স, জার্মানি ও ইতালিতে এ হার অপেক্ষাকৃত কম।

রিপোর্টে বলা হয়েছে, অনলাইনে হুমকিপূর্ণ মেসেজ, ই-মেইল বা টেক্সট প্রেরণ, যৌন হয়রানি করতে ডিপফেক নগ্ন ছবি পোস্ট, ওয়ালে অপমানজনক পোস্ট, ওয়েবসাইট তৈরি করে কারো ঠাট্টা করা, অনুমতি ছাড়া অনলাইন ছবি বা ভিডিও শেয়ার করা ইত্যাদি কর্মকাণ্ডের সংখ্যা বাড়ছে।

ডাবলিন সিটি ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক জেমস ও’হিগিনস নরম্যান বলেন, প্রযুক্তি, সংস্কৃতি এবং প্রতিষ্ঠানগত ব্যবস্থার সমন্বয় দেশগুলোর মধ্যে সাইবারবুলিংয়ের মাত্রায় পার্থক্য তৈরি করছে। এক্ষেত্রে প্রযুক্তি যেমন- ইন্টারনেট প্রবেশাধিকার, স্মার্টফোন ব্যবহার ও জনপ্রিয় অনলাইন প্ল্যাটফর্‌ম প্রভাব ফেলছে। এছাড়া সংস্কৃতি (সামাজিক মূল্যবোধ ও বাক্যপ্রকাশের ধরন) এবং প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা যেমন- ডিজিটাল শিক্ষা, স্কুলে সাইবার নিরাপত্তা পাঠক্রম এবং অভিভাবক পর্যবেক্ষণ বড় পার্থক্য তৈরি করছে।

কোভিড-১৯ মহামারির সময় স্কুল বন্ধ থাকায় এবং সামাজিক জীবনের বড় অংশ অনলাইনে চলে আসায় কিশোররা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে বেশি সময় কাটিয়েছে। এ সময় সাইবারবুলিং-এর সুযোগও বেড়ে যায়। এরপর এ সংখ্যা আর কমেনি।

ডাবলিনে অবস্থিত ট্রিনিটি কলেজের অধ্যাপক ডক্টর আলিনা কসমা উল্লেখ করেন, ডিজিটাল ডিভাইসের ব্যাপক ব্যবহার ও অনলাইন সময় বেশি দেওয়ার কারণে এ সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।

সূত্র : ইউরো নিউজ

কেএম

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow