ইকুয়েডরের কুখ্যাত ‘মাচালা’ কারাগারে সহিংসতা, ১৩ বন্দির মৃত্যু
ইকুয়েডরের দক্ষিণাঞ্চলীয় মাচালা কারাগার থেকে অন্তত ১৩ বন্দির লাশ উদ্ধার করেছে জেল কর্তৃপক্ষ। দেশটির কারাগার প্রশাসন সংস্থা এসএনএআই এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। এসএনএআই জানিয়েছে, কারাগারের বাইরে একটি বিস্ফোরক ডিভাইস বিস্ফোরণের পর এসব লাশ পাওয়া যায়। তবে বিস্ফোরণের সঙ্গে বন্দিদের মৃত্যুর সরাসরি সম্পর্ক আছে কি না তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। মৃতদের পরিচয় যাচাই, ময়নাতদন্ত ও অন্যান্য প্রক্রিয়া চলছে। সংস্থাটির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিস্ফোরণের পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাৎক্ষণিক অভিযান পরিচালনা করে এবং কেন্দ্রটি পরিদর্শন করা হয়। এ বছর মাচালা কারাগারে একের পর এক সহিংসতায় বহু বন্দি প্রাণ হারিয়েছে। গত মাসেই প্রতিদ্বন্দ্বী গ্যাংয়ের মুখোমুখি সংঘর্ষে অন্তত ৩১ জন বন্দি নিহত হয়েছিলেন। এদের মধ্যে ২৭ জনের শ্বাসরোধে মৃত্যু হয়। ঘটনার দিন ভোরে অপরাধী গোষ্ঠী লওস লোবোস–এর ওপর আক্রমণ চালায় প্রতিদ্বন্দ্বী গোষ্ঠী সাও বক্স। এতে ৪ বন্দি নিহত ও অন্তত ৩৬ জন আহত হন। পরে প্রতিশোধে লওস লোবোস একই দিন সাও বক্স গোষ্ঠীর ২৭ সদস্যকে শ্বাসরোধে হত্যা করে। সেপ্টেম্বরে আরও একটি সহিংস হামলায় ১৪ বন্দি এবং এক প্রহরী নিহত হয়েছিল
ইকুয়েডরের দক্ষিণাঞ্চলীয় মাচালা কারাগার থেকে অন্তত ১৩ বন্দির লাশ উদ্ধার করেছে জেল কর্তৃপক্ষ। দেশটির কারাগার প্রশাসন সংস্থা এসএনএআই এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এসএনএআই জানিয়েছে, কারাগারের বাইরে একটি বিস্ফোরক ডিভাইস বিস্ফোরণের পর এসব লাশ পাওয়া যায়। তবে বিস্ফোরণের সঙ্গে বন্দিদের মৃত্যুর সরাসরি সম্পর্ক আছে কি না তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। মৃতদের পরিচয় যাচাই, ময়নাতদন্ত ও অন্যান্য প্রক্রিয়া চলছে।
সংস্থাটির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিস্ফোরণের পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাৎক্ষণিক অভিযান পরিচালনা করে এবং কেন্দ্রটি পরিদর্শন করা হয়।
এ বছর মাচালা কারাগারে একের পর এক সহিংসতায় বহু বন্দি প্রাণ হারিয়েছে। গত মাসেই প্রতিদ্বন্দ্বী গ্যাংয়ের মুখোমুখি সংঘর্ষে অন্তত ৩১ জন বন্দি নিহত হয়েছিলেন। এদের মধ্যে ২৭ জনের শ্বাসরোধে মৃত্যু হয়।
ঘটনার দিন ভোরে অপরাধী গোষ্ঠী লওস লোবোস–এর ওপর আক্রমণ চালায় প্রতিদ্বন্দ্বী গোষ্ঠী সাও বক্স। এতে ৪ বন্দি নিহত ও অন্তত ৩৬ জন আহত হন। পরে প্রতিশোধে লওস লোবোস একই দিন সাও বক্স গোষ্ঠীর ২৭ সদস্যকে শ্বাসরোধে হত্যা করে।
সেপ্টেম্বরে আরও একটি সহিংস হামলায় ১৪ বন্দি এবং এক প্রহরী নিহত হয়েছিলেন।
ইন্টার-আমেরিকান কমিশন অন হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, ২০২০ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ইকুয়েডরের কারাগারগুলোতে ৬০০–র বেশি বন্দি নিহত হয়েছে। কারাগারের নিরাপত্তা ও বন্দিদের জীবনের অধিকার নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি জরুরি ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানায়।
ইকুয়েডরের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, বিদ্যমান কারাগারগুলো বর্তমান অপরাধ পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার মতো সক্ষম নয়। সেনা ও পুলিশ মোতায়েন করা সত্ত্বেও দেশজুড়ে কারাগারে সহিংসতার ঘটনা অব্যাহত রয়েছে।
সূত্র : সিএনএন
কেএম
What's Your Reaction?