ইটনায় টিসিবি পণ্য বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ
কিশোরগঞ্জের ইটনায় তাজুল ইসলাম মানিক মিয়া নামে এক ডিলারের বিরুদ্ধে টিসিবি’র পণ্য বিতরণে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, ওই ডিলার টিসিবি’র পণ্য প্রকৃত সুবিধাভোগীদের মধ্যে বিতরণ না করে বাইরে বিক্রি করছেন। এতে সুবিধাবঞ্চিত হচ্ছেন স্থানীয়রা। গত বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) উপজেলার মৃগা ইউনিয়নের লাইমপাশা গ্রামে আনন্দ বাজার নদীর পাড়ে সুবিধাভোগী হতদরিদ্র মানুষের মাঝে নির্ধারিত ন্যায্য মূল্য দামে টিসিবির পণ্য বিতরণকালে প্রকৃত সুবিধাভোগীরা বঞ্চিত হওয়ার প্রেক্ষিতে তারা এই অভিযোগ করেন। ডিলার তাজুল ইসলাম মানিক মিয়া উপজেলার চৌগাংগা ইউনিয়নের বাসিন্দা। তিনি মেসার্স মায়ের দোয়া এন্টারপ্রাইজের মালিক। স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও অনেক কার্ডধারী পণ্য পাননি। এ সময় তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, হাতে সরকারের দেওয়ার টিসিবি কার্ড থাকার পরেও তাদেরকে পণ্য দেওয়া হয়নি। কিছুক্ষণ পণ্য বিতরণের পরেই ডিলারের পক্ষ থেকে জানানো হয় বিতরণ শেষ। সব পণ্য বিতরণ হয়ে গেছে। আপাতত অবশিষ্ট নেই। মৃগা গ্রামের বাসিন্দা চাঁন মিয়া বলেন, সকাল থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে আছি। এখন বলছে পণ্য নেই। তাহলে আমার কার্ড
কিশোরগঞ্জের ইটনায় তাজুল ইসলাম মানিক মিয়া নামে এক ডিলারের বিরুদ্ধে টিসিবি’র পণ্য বিতরণে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, ওই ডিলার টিসিবি’র পণ্য প্রকৃত সুবিধাভোগীদের মধ্যে বিতরণ না করে বাইরে বিক্রি করছেন। এতে সুবিধাবঞ্চিত হচ্ছেন স্থানীয়রা।
গত বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) উপজেলার মৃগা ইউনিয়নের লাইমপাশা গ্রামে আনন্দ বাজার নদীর পাড়ে সুবিধাভোগী হতদরিদ্র মানুষের মাঝে নির্ধারিত ন্যায্য মূল্য দামে টিসিবির পণ্য বিতরণকালে প্রকৃত সুবিধাভোগীরা বঞ্চিত হওয়ার প্রেক্ষিতে তারা এই অভিযোগ করেন। ডিলার তাজুল ইসলাম মানিক মিয়া উপজেলার চৌগাংগা ইউনিয়নের বাসিন্দা। তিনি মেসার্স মায়ের দোয়া এন্টারপ্রাইজের মালিক।
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও অনেক কার্ডধারী পণ্য পাননি। এ সময় তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, হাতে সরকারের দেওয়ার টিসিবি কার্ড থাকার পরেও তাদেরকে পণ্য দেওয়া হয়নি। কিছুক্ষণ পণ্য বিতরণের পরেই ডিলারের পক্ষ থেকে জানানো হয় বিতরণ শেষ। সব পণ্য বিতরণ হয়ে গেছে। আপাতত অবশিষ্ট নেই।
মৃগা গ্রামের বাসিন্দা চাঁন মিয়া বলেন, সকাল থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে আছি। এখন বলছে পণ্য নেই। তাহলে আমার কার্ডের পণ্য কোথায় গেলো?
আরেক ভুক্তভোগী ওয়ারিস মিয়া বলেন, আমরা কখনও চাল পাইনি। উনারা তো নৌকায় করে চাল আনে না। তাহলে চাল দিবে কোথায় থেকে?
এ বিষয়ে ডিলার মেসার্স মায়ের দোয়া এন্টারপ্রাইজের মালিক তাজুল ইসলাম মানিক বলেন, প্রয়োজনীয় সব পণ্য আছে। তারপরেও আমি পণ্য দেওয়ার সময় উপস্থিত ছিলাম না। আমার ভাগ্নে রতন সেখানে উপস্থিত ছিলো।
এ ব্যাপারে রতন মিয়া বলেন, আমি যা পেয়েছি তা সবাইকে দিচ্ছি। আর কেউ যদি না পেয়ে থাকে, তাদেরকে আগামী মাসে দেওয়া হবে।
এ বিষয়ে ইটনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রায়হানুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, এ ব্যাপারে কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে এ বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
What's Your Reaction?