ইতালিকে কাঁদিয়ে ২৮ বছর পর বিশ্বকাপে নরওয়ে
ফুটবলের বিশ্বমঞ্চে এক দেশের দীর্ঘশ্বাস যেন অবশেষে মুক্তি পেল। আটাশ বছর—প্রায় তিন প্রজন্মের সমান অপেক্ষা। বিশ্বকাপের গ্রুপ ড্র, আলো ঝলমলে মঞ্চ, জাতীয় পতাকার উত্তোলন—সবই ছিল দূরের স্বপ্ন। সেই স্বপ্নকেই বাস্তবে ফেরাল এক নতুন প্রজন্ম, আর সামনে থেকে পথ দেখালেন ম্যানচেস্টার সিটির নরওয়েজিয়ান গোলমেশিন আর্লিং হলান্ড। ইতালির বিপক্ষে এক দুর্দান্ত জয়ে নিশ্চিত হল নরওয়ের ২০২৬ বিশ্বকাপের টিকিট। ম্যাচের আগে ব্যবধান ছিল স্পষ্ট—নরওয়ের সামনে ছিল কেবল আনুষ্ঠানিকতা, আর ইতালির সামনে অসম্ভবের চ্যালেঞ্জ। নয় গোলের ব্যবধানে জিততে হতো আজ্জুরিদের, যা যে কোনো মানদণ্ডেই কল্পনাতীত। তবু ম্যাচের শুরুটা চমকে দিয়েছিল সবাইকে। ১১ মিনিটেই পিও এসপোসিতোর দুর্দান্ত ফিনিশে ইতালি জ্বেলে তোলে আশার ক্ষীণ আলো। ফেদেরিকো দিমারকোর পাস থেকে দারুণ শটে এগিয়ে যায় চারবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। এরপর পুরো প্রথমার্ধজুড়ে তাদের দাপট—বল দখল, আক্রমণ, শট—সব ক্ষেত্রেই আধিপত্য ছিল ইতালির। কিন্তু দ্বিতীয় গোলটাই আর আসে না, আর সেই না আসাটাই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। বিরতির পর মাঠে নামে অন্য নরওয়ে—আর সামনে এসে দাঁড়ান অন্য এক হলান্ড। ৫৩ মিনিটে আন্তোনিও
ফুটবলের বিশ্বমঞ্চে এক দেশের দীর্ঘশ্বাস যেন অবশেষে মুক্তি পেল। আটাশ বছর—প্রায় তিন প্রজন্মের সমান অপেক্ষা। বিশ্বকাপের গ্রুপ ড্র, আলো ঝলমলে মঞ্চ, জাতীয় পতাকার উত্তোলন—সবই ছিল দূরের স্বপ্ন। সেই স্বপ্নকেই বাস্তবে ফেরাল এক নতুন প্রজন্ম, আর সামনে থেকে পথ দেখালেন ম্যানচেস্টার সিটির নরওয়েজিয়ান গোলমেশিন আর্লিং হলান্ড। ইতালির বিপক্ষে এক দুর্দান্ত জয়ে নিশ্চিত হল নরওয়ের ২০২৬ বিশ্বকাপের টিকিট।
ম্যাচের আগে ব্যবধান ছিল স্পষ্ট—নরওয়ের সামনে ছিল কেবল আনুষ্ঠানিকতা, আর ইতালির সামনে অসম্ভবের চ্যালেঞ্জ। নয় গোলের ব্যবধানে জিততে হতো আজ্জুরিদের, যা যে কোনো মানদণ্ডেই কল্পনাতীত। তবু ম্যাচের শুরুটা চমকে দিয়েছিল সবাইকে।
১১ মিনিটেই পিও এসপোসিতোর দুর্দান্ত ফিনিশে ইতালি জ্বেলে তোলে আশার ক্ষীণ আলো। ফেদেরিকো দিমারকোর পাস থেকে দারুণ শটে এগিয়ে যায় চারবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। এরপর পুরো প্রথমার্ধজুড়ে তাদের দাপট—বল দখল, আক্রমণ, শট—সব ক্ষেত্রেই আধিপত্য ছিল ইতালির। কিন্তু দ্বিতীয় গোলটাই আর আসে না, আর সেই না আসাটাই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয়।
বিরতির পর মাঠে নামে অন্য নরওয়ে—আর সামনে এসে দাঁড়ান অন্য এক হলান্ড।
৫৩ মিনিটে আন্তোনিও নুসারের দুর্দান্ত শটে সমতায় ফেরে নরওয়ে। এরপরই শুরুর নীরবতা ভেঙে মহাকাব্যিক আবির্ভাব হলান্ডের। অস্কার ববের ক্রস থেকে প্রথমে বুলেট ভলিতে দলকে এগিয়ে দেন, আর মিনিট দু-এক পরই নিজের দ্বিতীয় গোলটি তুলে নেন অবিশ্বাস্য সহজতায়। আট ম্যাচে ১৬ গোল—এই সংখ্যাটাই বলে দেয় তিনি নরওয়ের জন্য কী।
ইনজুরি টাইমে ইয়ার্গেন স্ট্রান্ড লারসেনের ফিনিশে স্কোরলাইন দাঁড়ায় ৪-১, আর তাতেই নিশ্চিত হয় নরওয়ের বিশ্বকাপ ফেরা। শেষবার তারা খেলেছিল ১৯৯৮ সালে—সেই দলে ছিলেন হলান্ডের বাবা আলফ ইনগে হলান্ড। এবার ইতিহাসটা লিখলেন ছেলে।
ইতালির জন্য বাকি রইল আবারও প্লে-অফের অস্থির পথ। ২০১৮ বিশ্বকাপ মিসের যন্ত্রণা, ২০২২-এ উত্তর মেসিডোনিয়ার বিপক্ষে লজ্জাজনক হার—সবকিছুই যেন তাদের সামনে আবার ছায়ার মতো ফিরে আসছে।
কিন্তু আজকের রাতটা নরওয়ের। আর এই রাতটা বাঁচিয়ে রাখবে একটি নাম—আর্লিং হলান্ড।
What's Your Reaction?