ইতালিতে নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধে আজীবন কারাদণ্ডের বিধান

নারীর প্রতি সহিসংসতা বন্ধে ইতালির ফৌজদারি আইনে প্রথমবারের মতো ‘ফেমিসাইড’ কে (নারী হওয়ায় হত্যা বা হত্যাচেষ্টা) আলাদা অপরাধ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করেছে দেশটির সংসদ। এ অপরাধের সাজা হিসেবে রাখা হয়েছে আজীবন কারাদণ্ড। মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) জাতিসংঘ ঘোষিত আন্তর্জাতিক নারী সহিংসতা নির্মূল দিবসের দিনেই অনুষ্ঠিত ভোটে এই আইনটি সংসদের সব দলের সমর্থন লাভ করে। নিম্নকক্ষে চূড়ান্ত ভোটে ২৩৭ জন সদস্য এর পক্ষে ভোট দেন। ইতালির পরিসংখ্যান সংস্থা ইস্তাতের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে দেশে ১০৬টি ফেমিসাইড রেকর্ড করা হয়েছে, যার মধ্যে ৬২টি হত্যাকাণ্ড ঘটেছে স্বামী বা সঙ্গীর হাতে। প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনির নেতৃত্বাধীন রক্ষণশীল সরকারের সমর্থনে এ বিল উত্থাপন করা হয়েছিল। সাম্প্রতিক সময়ে ইতালিতে নারীদের হত্যাকাণ্ড ও সহিংসতার প্রেক্ষিতে তৈরি করা হয়েছে। এতে স্টকিং, রিভেঞ্জ পর্নসহ লিঙ্গভিত্তিক অপরাধের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ২০২৩ সালে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী জিউলিয়া চেকেত্তিনকে নির্মমভাবে হত্যার মতো ঘটনায় ইতালিতে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি করেছে। পিতৃতান্ত্রিক সামাজিক কাঠামোকে অনেকেই এ সহিংসতার মূল হিসেবে দ

ইতালিতে নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধে আজীবন কারাদণ্ডের বিধান

নারীর প্রতি সহিসংসতা বন্ধে ইতালির ফৌজদারি আইনে প্রথমবারের মতো ‘ফেমিসাইড’ কে (নারী হওয়ায় হত্যা বা হত্যাচেষ্টা) আলাদা অপরাধ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করেছে দেশটির সংসদ। এ অপরাধের সাজা হিসেবে রাখা হয়েছে আজীবন কারাদণ্ড।

মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) জাতিসংঘ ঘোষিত আন্তর্জাতিক নারী সহিংসতা নির্মূল দিবসের দিনেই অনুষ্ঠিত ভোটে এই আইনটি সংসদের সব দলের সমর্থন লাভ করে। নিম্নকক্ষে চূড়ান্ত ভোটে ২৩৭ জন সদস্য এর পক্ষে ভোট দেন।

ইতালির পরিসংখ্যান সংস্থা ইস্তাতের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে দেশে ১০৬টি ফেমিসাইড রেকর্ড করা হয়েছে, যার মধ্যে ৬২টি হত্যাকাণ্ড ঘটেছে স্বামী বা সঙ্গীর হাতে।

প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনির নেতৃত্বাধীন রক্ষণশীল সরকারের সমর্থনে এ বিল উত্থাপন করা হয়েছিল। সাম্প্রতিক সময়ে ইতালিতে নারীদের হত্যাকাণ্ড ও সহিংসতার প্রেক্ষিতে তৈরি করা হয়েছে। এতে স্টকিং, রিভেঞ্জ পর্নসহ লিঙ্গভিত্তিক অপরাধের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

২০২৩ সালে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী জিউলিয়া চেকেত্তিনকে নির্মমভাবে হত্যার মতো ঘটনায় ইতালিতে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি করেছে। পিতৃতান্ত্রিক সামাজিক কাঠামোকে অনেকেই এ সহিংসতার মূল হিসেবে দেখছেন।

প্রধানমন্ত্রী মেলোনি বলেন, আমরা সহিংসতা–বিরোধী কেন্দ্র ও আশ্রয়কেন্দ্রের জন্য বাজেট দ্বিগুণ করেছি, জরুরি হটলাইন চালু করেছি এবং সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য নতুন উদ্যোগ নিয়েছি। এগুলো বাস্তব অগ্রগতি। কিন্তু এখানেই থেমে থাকা যাবে না—প্রতিদিন আরও অনেক কিছু করতে হবে।

সূত্র : সিএনএন

কেএম

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow