পবিত্র মাহে রমজানে মাসব্যাপী গণইফতারের আয়োজন করবে ইনকিলাব মঞ্চ। শনিবার (০১ মার্চ) ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ উসমান হাদির ফেসবুক পোস্ট থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
শরীফ উসমান হাদির ফেসবুক পোস্টটি তুলে ধরা হলো-
ইনকিলাব-এর ইফতার দাওয়াত
ঢাকার যে সকল স্পটে জুলাই-এ ব্যাপক যুদ্ধ হইছে, সে সব জায়গায় গণইফতার করবে ইনকিলাব মঞ্চ। শাহবাগ, রামপুরা, মিরপুর, উত্তরা, মোহাম্মদপুর ও যাত্রাবাড়ীতে উন্মুক্ত ময়দানে আমরা হাজির হবো।
আপনারা এলাকাবাসীরা যে যা পারেন, সে ইফতার নিয়ে হাজির হবেন। সবাই পাটি বিছিয়ে ভাগ করে রোজা খুলবো। জুলাই শহীদ পরিবার ও আহতদের সঙ্গে নিয়ে খোলা ময়দানে আমরা আরশের পানে হাত তুলবো।
ঘামে ভেজা শ্রমজীবী রোজাদারদের সঙ্গে মোনাজাতে বলবো- খোদা গো, আমাদের জান বাঁচাও। জুলাই বাঁচাও। বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব বাঁচাও।
আপনাদের এলাকায় আমরা দাওয়াত নিলাম। দোয়ায় দেখা হবে। ইনশাআল্লাহ...
এদিকে, প্রতি বছরের মতো এবারও পবিত্র মাহে রমজানে মাসব্যাপী গণইফতারের আয়োজন করবে এবি পার্টি-আমার বাংলাদেশ পার্টি। প্রতিদিন কয়েক হাজার ছিন্নমূল ও অসহায় মানুষের জন্য ইফতারে স্বাস্থ্যসম্মত পুষ্টিকর খাবার বিতরণের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে দলটি। দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় সংলগ্ন বিজয়-৭১ চত্বরে প্রতিদিন বিকাল ৫টার দিকে এই গণইফতার অনুষ্ঠিত হবে।
শনিবার (০১ মার্চ) দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বেলা ১১টার দিকে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন দলের চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু।
তিনি বলেন, রমজান মাস আসলে কৃত্রিমভাবে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির একটা আশঙ্কা তৈরি হয়, অপরাধী চক্র সক্রিয় হয় ছিনতাই, চুরি, ডাকাতিসহ নানা নৈরাজ্যকর কর্মকাণ্ডে। এসব বিষয়ের পেছনে অতীতে সরকারের মদদপুষ্ট সিন্ডিকেট, চাঁদাবাজ গ্রুপ ও দলীয় সন্ত্রাসীরা জড়িত থাকত। কিন্তু বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার নির্দিষ্ট কোনো দলের সরকার না। তাদের মদদপুষ্ট সিন্ডিকেট বা চাঁদাবাজ গ্রুপ নেই। তাহলে কেন এবারের রমজান ভয়, শঙ্কামুক্ত হবে না? কেন এবারের রমজানে মানুষ নির্ভয়ে, নিরাপদে ইবাদত-বন্দেগি করতে পারবে না?
মঞ্জু রমজানে দ্রব্যমূল্য সহনীয় মাত্রায় রাখা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও যানজট নিরসনকে সরকারের জন্য পরীক্ষা হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, এই পরীক্ষায় সরকারকে পাস করতে হবে অন্যথায় এই সরকারের দ্বারা একটি অবাধ, নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করা সম্ভব হবে কি না তা নিয়ে অনাস্থা সৃষ্টি হবে।
তিনি রমজানে যানজট নিরসনসহ সারা দেশে যোগাযোগব্যবস্থায় জনভোগান্তি দূর করার জন্য সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ সহযোগিতায় বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।