‘ইন্ডিয়ার দালাল প্রতিনিধি এদেশে বরদাশত করব না’

2 weeks ago 11

কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল বলেছেন, বাংলাদেশের গণঅভ্যুত্থানের মধ্যে দিয়ে শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে গেছেন। সেখানে বসে গুটি চেলে এদেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টি করতে চান। আর সেখানের হিন্দুত্ববাদী সরকার তার পেছনে ইন্ধন জোগায়। ইন্ডিয়ার কোনো বিদ্বেষ, ইন্ডিয়ার কোনো দালাল প্রতিনিধি আমরা এদেশে বরদাশত করব না।

বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেলে ফরিদপুর শহরের ব্রাহ্মসমাজ সড়কে কৃষকদলের ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শোভাযাত্রার পূর্বে এক কৃষক সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।

ভারতের মমতা ব্যানার্জিকে উদ্দেশ্য করে শহিদুল ইসলাম বাবুল বলেন, আপনারা বাংলাদেশের নামে অপপ্রচার করে সাম্প্রতিকতা সৃষ্টির মাধ্যমে আবার শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে পাঠাতে চান। বাংলাদেশের মানুষ ওই হুমকি ধমকির পরোয়া করে না। বাংলাদেশের আট কোটি যুবক, আট কোটি কৃষক বুকে মাইন বেঁধে আপনাদেরকে প্রতিহত করার জন্য প্রস্তুতি আছে। 

তিনি বলেন, বিশ্ব রাজনীতিতে আমরা একা না, আমাদের সঙ্গে এশিয়ার দেশ ও দক্ষিণ এশিয়া রয়েছে। বাংলাদেশ আমাদের, এদেশের মানুষের।  

কৃষকদের কথা তুলে ধরে শহিদুল ইসলাম বলেন, এদেশের ৭০ ভাগ মানুষ কৃষি কাজের সঙ্গে জড়িত। কৃষকরা ফসল উৎপাদন না করলে শহরের বুদ্ধিজীবী সাহেবদের ফুটানি বন্ধ হয়ে যাবে, অর্থনীতি বন্ধ হয়ে যাবে। এদেশের কৃষকের সন্তান গার্মেন্টসে শ্রম না দিলে বৈদেশিক মুদ্রা বন্ধ হয়ে যাবে, আর কৃষকের সন্তান প্রবাসে শ্রম না দিলে রেমিট্যান্স বন্ধ হয়ে যাবে। আর এগুলো বন্ধ হয়ে গেলে ব্যাংক চলবে না, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন বন্ধ হয়ে যাবে। 

তিনি বলেন, বিগত ১৫ বছরে এক শ্রেণির দুর্বৃত্তরা কৃষকের হাড়ভাঙ্গা শ্রমের টাকা বিদেশে লুণ্ঠন করে টাকার পাহাড় গড়েছেন। আমাদের দল বলেছে, তারেক রহমান বলেছেন, ৩১ দফা বাস্তবায়ন হলে বিএনপি ক্ষমতায় আসতে পারলে কৃষকের ভাগ্য উন্নয়নে যুগান্তকারী কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে। 

ফরিদপুর কৃষক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শহিদুর রহমানের সভাপতিত্বে এ কৃষক সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ মোদাররেছ আলী ইছা, কেন্দ্রীয় কৃষকদলের সহসভাপতি ও সাবেক সাংসদ খন্দকার নাসিরুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় মহিলা দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নায়াব ইউসুফ, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব গোলাম মোস্তফা মিরাজ, মহানগর কৃষক দলের সদস্য সচিব মুরাদ হোসেন প্রমুখ। 

সমাবেশ শেষে একটি শোভাযাত্রা বের হয়ে মুজিব সড়কের প্রেসক্লাবের সামনে দিয়ে ভাঙ্গা রাস্তার মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। এর আগে দুপুর সাড়ে তিনটা থেকে জেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন, পৌরসভা ও উপজেলা থেকে কৃষকদলের হাজার হাজার নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে ব্রাহ্মসমাজ সড়কে জড়ো হতে থাকে।

Read Entire Article