ইন্দোনেশিয়ার বালি ও পূর্ব নুসা টেংগারা প্রদেশে টানা ভারি বৃষ্টিতে ভয়াবহ বন্যা ও ভূমিধসে কমপক্ষে ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এখনো পাঁচজন নিখোঁজ রয়েছেন। খবর আল জাজিরার।
জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার তথ্যমতে, কেবল বালিতেই মৃতের সংখ্যা ১৬-তে পৌঁছেছে। নিখোঁজদের খোঁজে সেনা, পুলিশ ও প্রায় ৬০০ জন উদ্ধারকর্মী অভিযান চালাচ্ছে।
টানা চার দিনের ভারি বৃষ্টিতে নদীর পানি ফুলে ওঠে, অন্তত ১২০টি পাড়া প্লাবিত হয় এবং এক ডজনের বেশি ভূমিধসের ঘটনা ঘটে। ফলে ঘরবাড়ি, সেতু, সড়ক ও বাজার এলাকা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
বন্যার কারণে ৫০০-এর বেশি মানুষ অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছে। বিদ্যুৎ ও পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল, তবে পানি নামতে শুরু করায় ধীরে ধীরে বিদ্যুৎ ও যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক হচ্ছে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করছেন, অতিরিক্ত পর্যটন, অপরিকল্পিত নগরায়ণ ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনার দুর্বলতাই বালির ভয়াবহ বন্যার অন্যতম কারণ। একদিকে ধানক্ষেত ও খাল-বিল কংক্রিটে ঢেকে যাওয়ায় পানি ধারণের জায়গা কমে গেছে, অন্যদিকে ভারি বর্ষণে দ্রুত বন্যা দেখা দিয়েছে।
পূর্ব নুসা টেংগারার গ্রামীণ এলাকায় উদ্ধারকাজ সবচেয়ে কঠিন হয়ে পড়েছে। সেখানে শিশুসহ কয়েকজনের মরদেহ কাদামাটি ও নদী থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। বন্যায় সেতু, সরকারি দফতর, চাষাবাদ এবং গবাদি পশুও ধ্বংস হয়েছে।
সরকার এক সপ্তাহের জরুরি অবস্থা জারি করেছে এবং উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছে।