ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় পার্লামেন্ট ভবনের সামনে আবারও বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) দেশজুড়ে প্রাণঘাতী সহিংসতার এক সপ্তাহ পর শিক্ষার্থীদের এই কর্মসূচির ঘোষণা এসেছে।
ছাত্র সংগঠনগুলোর জোট বিইএম এসআই ইনস্টাগ্রামে দেওয়া এক বিবৃতিতে সবাইকে এই ‘শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি’তে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, জনগণের অস্থিরতা রাস্তায় প্রতিবাদ থেকে আসে না। আসে দুর্নীতি, রাজনৈতিক আইন, বিকৃত ইতিহাস এবং জনগণকে অবহেলা করা সরকারি নীতি থেকে।
কেন এই বিক্ষোভ
গত সপ্তাহে পুলিশের একটি আধাসামরিক গাড়ি ২১ বছর বয়সী ডেলিভারি গাড়িচালক আফফান কুরনিয়াওয়ানকে চাপা দেওয়ার পর বিক্ষোভ সহিংস রূপ নেয়। শিক্ষার্থী, শ্রমিক ও মানবাধিকার সংগঠনগুলো একত্রে অর্থনৈতিক সংকট এবং সংসদ সদস্যদের জন্য রাষ্ট্রীয় সুবিধার বিরুদ্ধেও বিক্ষোভ করে।
আরও পড়ুন>>
- ইন্দোনেশিয়ায় অর্থমন্ত্রীর বাসভবনে রাতভর লুটপাট
- ইন্দোনেশিয়ায় প্রাদেশিক পরিষদ ভবনে বিক্ষোভকারীদের আগুন, নিহত ৩
- মোটরসাইকেল চালকের মৃত্যুতে যেভাবে উত্তাল হলো ইন্দোনেশিয়া
পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস ও পানি কামান ব্যবহার করে। শত শত মানুষকে গ্রেফতার করা হয়। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের তথ্য অনুযায়ী, ইন্দোনেশিয়াজুড়ে এখন পর্যন্ত তিন হাজারের বেশি মানুষকে আটক করা হয়েছে। সহিংসতায় অন্তত ১০ জন নিহত এবং এক হাজারেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।
পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ
বুধবার পুলিশের অভ্যন্তরীণ কমিশন এক কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করেছে। তদন্তে প্রমাণ মিলেছে, তিনি আফফান কুরনিয়াওয়ানের মৃত্যুর ঘটনায় নৈতিকতা ভঙ্গ করেছেন।
জাতীয় পুলিশের মুখপাত্র ট্রুনোয়ুদো উইস্নু আন্দিকো জানিয়েছেন, ওই কর্মকর্তা বিক্ষোভের সময় ‘অপেশাদার আচরণ’ করেছিলেন। তবে তিনি সরাসরি গাড়ি চালাচ্ছিলেন কি না, সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি।
স্বাধীন তদন্তের দাবি
বুধবার ১০টি ছাত্র সংগঠন সংসদ সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করে পুলিশের সহিংসতা নিয়ে স্বাধীন তদন্তের দাবি জানিয়েছে। বৃহস্পতিবার সরকারের সঙ্গে আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছেন পার্লামেন্টের ডেপুটি স্পিকার।
তবে বিইএম এসআই-এর নেতা মুজাম্মিল ইহসান বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো অগ্রগতি হয়নি।
সূত্র: ডয়েচে ভেলে
কেএএ/