ইন্দোনেশিয়ায় বন্যায় মৃত বেড়ে ৮০০ ছাড়িয়েছে, এখনো নিখোঁজ ৬৫০

ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপজুড়ে ভয়াবহ বন্যা ও ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে আটশ ছাড়িয়েছে বলে বুধবার (৩ ডিসেম্বর) দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা জানিয়েছে। তাদের সর্বশেষ তথ্যে, ৮০৪ জনের মৃত্যু নিশ্চিত হয়েছে আর ৬৫০ জনের বেশি মানুষ এখনও নিখোঁজ। এছাড়া, তিনটি প্রদেশে এ দুর্যোগে ৫ লাখ ৭০ হাজারের বেশি মানুষ গৃহহীন হয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন। উদ্ধারকাজ ও অনুসন্ধান কার্যক্রম আরও জোরদার করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। বন্যায় উত্তর সুমাত্রা ও পশ্চিম সুমাত্রা প্রদেশ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে তাপানুলি ও সিবোলগা এলাকা পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় সেখানে সহায়তা পৌঁছাতে পারছে না। সরকারি ও আন্তর্জাতিক সহায়তা আকাশপথে ও জলপথে পাঠানো হলেও অনেক প্রত্যন্ত গ্রামে এখনো কোনো ত্রাণ পৌঁছায়নি। ফলে খাদ্য ও পানির তীব্র সংকটে ক্ষতিগ্রস্তদের অনেকেই দোকানভাঙচুর ও খাদ্য লুটের ঘটনায় জড়িয়ে পড়ছেন। সুমাত্রায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও সহায়তা পৌঁছানোর আগে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, অনেকেই ঘরবাড়ি ছাড়তে চাইছেন না। কারণ বন্যা থেমে যাওয়ার পরও ঘর, ফসল ও যানবাহন কাদ

ইন্দোনেশিয়ায় বন্যায় মৃত বেড়ে ৮০০ ছাড়িয়েছে, এখনো নিখোঁজ ৬৫০

ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপজুড়ে ভয়াবহ বন্যা ও ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে আটশ ছাড়িয়েছে বলে বুধবার (৩ ডিসেম্বর) দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা জানিয়েছে।

তাদের সর্বশেষ তথ্যে, ৮০৪ জনের মৃত্যু নিশ্চিত হয়েছে আর ৬৫০ জনের বেশি মানুষ এখনও নিখোঁজ।

এছাড়া, তিনটি প্রদেশে এ দুর্যোগে ৫ লাখ ৭০ হাজারের বেশি মানুষ গৃহহীন হয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন।

উদ্ধারকাজ ও অনুসন্ধান কার্যক্রম আরও জোরদার করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

বন্যায় উত্তর সুমাত্রা ও পশ্চিম সুমাত্রা প্রদেশ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে তাপানুলি ও সিবোলগা এলাকা পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় সেখানে সহায়তা পৌঁছাতে পারছে না।

সরকারি ও আন্তর্জাতিক সহায়তা আকাশপথে ও জলপথে পাঠানো হলেও অনেক প্রত্যন্ত গ্রামে এখনো কোনো ত্রাণ পৌঁছায়নি। ফলে খাদ্য ও পানির তীব্র সংকটে ক্ষতিগ্রস্তদের অনেকেই দোকানভাঙচুর ও খাদ্য লুটের ঘটনায় জড়িয়ে পড়ছেন। সুমাত্রায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও সহায়তা পৌঁছানোর আগে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, অনেকেই ঘরবাড়ি ছাড়তে চাইছেন না। কারণ বন্যা থেমে যাওয়ার পরও ঘর, ফসল ও যানবাহন কাদামাটিতে ঢেকে গেছে। পশ্চিম সুমাত্রার রাজধানী পদাং থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরের সুংগাই নিয়ালো গ্রামে এখনো রাস্তা পরিষ্কারকাজ শুরু হয়নি, বাইরের কোনো সাহায্যও পৌঁছায়নি।

চরম দুর্যোগের এই পরিস্থিতিতে যোগাযোগ ব্যবস্থা সচল রাখতে কৌশলগত সহায়তা হিসেবে বিনামূল্যে স্টারলিংক সেবা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ইলন মাস্ক।

সূত্র: এএফপি

এমএসএম

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow