ইবি রেজিস্ট্রারের ‘চেহারাসদৃশ’ আপত্তিকর ভিডিও ফাঁস

3 months ago 47

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসানের ‘চেহারাসদৃশ’ একটি নগ্ন ভিডিও কলের স্ক্রিনরেকর্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে অজ্ঞাতপরিচয় এক নারীর সঙ্গে তাকে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করতে দেখা যায়। এ নিয়ে ক্যাম্পাসে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।

তবে রেজিস্ট্রারের দাবি, এ ভিডিও তার নয়। তাকে হেয় করার জন্য ষড়যন্ত্রমূলকভাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহার করে এ ভিডিও করা হয়েছে।

এ ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত করে বিচারের দাবি জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ও প্রগতিশীল শিক্ষক সংগঠন শাপলা ফোরাম।

ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, শনিবার (১ জুন) ‘ইবির ত্রাস’ নামের ফেসবুক আইডি থেকে ভিডিও সম্বলিত একটি পোস্ট করা হয়। ওই পোস্টে গুগল ড্রাইভ ব্যবহার করে স্ক্রিনরেকর্ড সম্বলিত একটি ভিডিও সংযুক্ত করা হয়। ১ মিনিট ৩৩ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসানের ‘চেহারাসদৃশ’ ও অজ্ঞাতপরিচয় এক নারীকে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করতে করতে দেখা যায়। ভিডিওটি সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশের পরপরই ভাইরাল হয়।

এ ঘটনার তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ও প্রগতিশীল শিক্ষক সংগঠন শাপলা ফোরাম। শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী সভা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ন রাখার স্বার্থে এ বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়। একইসঙ্গে তদন্ত চলাকালীন তাকে দায়িত্ব থেকে বিরত রাখার দাবি জানানো হয়।

অন্যদিকে শাপলা ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্মন ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রবিউল ইসলাম সই করা এক চিঠিতে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।

জানতে চাইলে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান বলেন, ‘ভিডিওটি আমি দেখেছি। একটি কুচক্রী মহলের চক্রান্ত এটি। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহার করে এটি বানানো হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি বিষয়টি নিয়ে পর্যালোচনা করছি। সময়মতো আইনগত ব্যবস্থা নেবো। বিভিন্ন সময় রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিয়েও আমরা এমন ভিডিও দেখি। এটিও তেমনই একটি ভিডিও।’

শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘যেহেতু বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, তাই আমরা ঘটনার সত্যতা সামনে নিয়ে আসার জন্য তদন্ত করার দাবি জানিয়েছি।’

এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, ‘যা শুনেছি...এসব ডার্টি (নোংরা) ভিডিও আমি দেখতেও চাই না। শুধু ফাঁস হলেই বিষয়টি আমলে নেওয়ার কোনো কারণ নেই। এ জাতীয় কাজে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়। ফেসবুকে পোস্ট না দিয়ে আমাকে সরাসরি আবেদন দিয়ে বলুক। সত্যতা পেলে আমি ব্যবস্থা নেবো। এসব হাওয়ায় ভাসা অডিও-ভিডিও আমলে নেওয়া যায় না।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিষয়টি যেহেতু সামনে এসেছে, সত্য হলে ব্যবস্থা নেবো। এসব বিষয় তদন্ত করার মতো আমাদের হাতে টেকনিক্যাল সাপোর্ট নেই। সরকারের কাছে সাহায্য চাইতে হবে।’

মুনজুরুল ইসলাম/এসআর/জেআইএম

Read Entire Article