ইরানের অভ্যন্তরে একাধিক সামরিক স্থাপনায় নতুন করে বিমান হামলা চালানোর দাবি করেছে দখলদার রাষ্ট্র ইসরায়েল। মঙ্গলবার (১৭ জুন) দেশটির সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, মঙ্গলবার চালানো এ হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল ইরানের অন্তত ১২টি ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ ও সংরক্ষণ কেন্দ্র।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর দাবি, এসব স্থাপনাগুলো ইরানের সম্ভাব্য প্রতিশোধমূলক হামলা মোকাবিলায় আগে থেকেই চিহ্নিত ছিল। সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করেছে ইসরায়েলি বিমানবাহিনী।
এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি কোথায় লুকিয়ে আছেন আমরা জানি, তবে এখনই তাকে হত্যা করবো না।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প লিখেছেন, ‘আমরা জানি সেই তথাকথিত সুপ্রিম লিডার (আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি) কোথায় লুকিয়ে আছেন। তিনি সহজ লক্ষ্য, কিন্তু সেখানে তিনি নিরাপদ- আমরা তাকে সরিয়ে (হত্যা করে) ফেলবো না, অন্তত আপাতত নয়।’
- আরও পড়ুন
ইরানের হামলার আশঙ্কায় ৩০টি যুদ্ধবিমান সরিয়ে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র
আমরা ইরানের আকাশ নিয়ন্ত্রণে নিয়েছি: ট্রাম্প
যদিও গত তিন দিনে অন্তত ৩০টি মার্কিন সামরিক বিমান বিভিন্ন ঘাঁটি থেকে ইউরোপে সরিয়ে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এসব বিমান যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ট্যাংকার বিমান, যা যুদ্ধবিমান ও বোমারু বিমানগুলোতে জ্বালানি সরবরাহের কাজে ব্যবহৃত হয়।
ফ্লাইটট্রেডার২৪ এর তথ্যমতে, এসব বিমানের অন্তত সাতটি কেসি-১৩৫ মডেলের, যেগুলো স্পেন, স্কটল্যান্ড এবং ইংল্যান্ডে অবস্থিত মার্কিন ঘাঁটিতে নেওয়া হয়েছে।
যদিও যুক্তরাষ্ট্রের এসব সামরিক বিমান চলাচল সরাসরি ওই সংঘাতের সঙ্গে সম্পৃক্ত কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে এক সামরিক বিশ্লেষক বিবিসি ভেরিফাইকে বলেছেন, এই ধরনের ট্যাংকার বিমান চলাচল অত্যন্ত অস্বাভাবিক ঘটনা।
সূত্র: আল-জাজিরা, বিবিসি।
কেএসআর/