ইরাসমাস আন্তর্জাতিক ক্রেডিট মোবিলিটিতে যুক্ত হওয়ার যোগ্যতা পেল কুবি

ইরাসমাস ও ইন্টারন্যাশনাল ক্রেডিট মোবিলিটি (আইসিএম) কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের যোগ্যতা অর্জন করেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি)। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রাতিষ্ঠানিক আইডি (E10413895) পাওয়ার মধ্যে দিয়ে এ যোগ্যতা অর্জন করেছে। এর ফলে ইউরোপ ও তুরস্কসহ মোট ৩৩টি দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও গবেষক বিনিময় কর্মসূচিতে যুক্ত হওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে। কুবির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক দপ্তর সূত্রে জানা যায়, আইসিএমকে ‘ইরাসমুস স্ট্যাটাস’ বলা হলেও বাস্তবে বাংলাদেশের জন্য আলাদা কোনো ইরাসমুস স্ট্যাটাস নেই। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় যে স্বীকৃতি পেয়েছে, তার প্রকৃত নাম International Credit Mobility (ICM)। এ কর্মসূচিতে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় পার্টনার বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে অংশ নিতে পারবে। তবে কো-অর্ডিনেটিং ইউনিভার্সিটি অবশ্যই ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশ বা তুরস্কের হতে হবে। এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক দপ্তরের পরিচালক মশিউর রহমান বলেন, প্রায় দুই মাস ধরে আমরা এ আবেদন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে গিয়েছি। সফলভাবে প্রাতিষ্ঠানিক আইডি পাওয়ার অর্থ হলো— এখন আমরা বিশ্বের ৩৩টি দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে আমাদের শিক্ষক ও শিক্

ইরাসমাস আন্তর্জাতিক ক্রেডিট মোবিলিটিতে যুক্ত হওয়ার যোগ্যতা পেল কুবি

ইরাসমাস ও ইন্টারন্যাশনাল ক্রেডিট মোবিলিটি (আইসিএম) কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের যোগ্যতা অর্জন করেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি)। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রাতিষ্ঠানিক আইডি (E10413895) পাওয়ার মধ্যে দিয়ে এ যোগ্যতা অর্জন করেছে। এর ফলে ইউরোপ ও তুরস্কসহ মোট ৩৩টি দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও গবেষক বিনিময় কর্মসূচিতে যুক্ত হওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে।

কুবির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক দপ্তর সূত্রে জানা যায়, আইসিএমকে ‘ইরাসমুস স্ট্যাটাস’ বলা হলেও বাস্তবে বাংলাদেশের জন্য আলাদা কোনো ইরাসমুস স্ট্যাটাস নেই। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় যে স্বীকৃতি পেয়েছে, তার প্রকৃত নাম International Credit Mobility (ICM)। এ কর্মসূচিতে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় পার্টনার বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে অংশ নিতে পারবে। তবে কো-অর্ডিনেটিং ইউনিভার্সিটি অবশ্যই ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশ বা তুরস্কের হতে হবে।

এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক দপ্তরের পরিচালক মশিউর রহমান বলেন, প্রায় দুই মাস ধরে আমরা এ আবেদন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে গিয়েছি। সফলভাবে প্রাতিষ্ঠানিক আইডি পাওয়ার অর্থ হলো— এখন আমরা বিশ্বের ৩৩টি দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে আমাদের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামে পাঠানোর সুযোগ তৈরি করতে পারব।

তিনি জানান, এ আইডির সর্বোচ্চ সুবিধা নিতে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে বড় অগ্রাধিকার হবে আরও বেশি সমঝোতা স্মারক (MoU) স্বাক্ষর। কারণ আইসিএম কর্মসূচিতে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সরাসরি কোনো ফান্ড পায় না। ইউরোপীয় বা অ্যাসোসিয়েটেড দেশগুলোর পার্টনার বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তাদের নিজ নিজ ন্যাশনাল এজেন্সির মাধ্যমে যে বাৎসরিক ইরাসমাস ফান্ড পায়, সেই ফান্ড ব্যবহারের ক্ষেত্রে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম যুক্ত হয়। এর ফলে ওই ফান্ড থেকেই কুবির শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামের সুযোগ পাবেন।

তিনি আরও জানান, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ইতোমধ্যে তুরস্কের দুটি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে শিক্ষার্থী ও শিক্ষক বিনিময় চুক্তি (MoU) স্বাক্ষর করেছে। এসব প্রতিষ্ঠানের কাছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের OID জানিয়ে দেওয়া হবে। পাশাপাশি আরও নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে চুক্তির চেষ্টা চলছে। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো যদি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়কে পার্টনার হিসেবে দেখিয়ে ICM ফান্ডের জন্য আবেদন করে এবং ফান্ড পায়, তাহলে সেটি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য বড় অর্জন হবে।

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় নিজ নামে সরাসরি ইরাসমাস ফান্ড পেতে কী করতে হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভবিষ্যতে CBHE, Jean Monnet (JM) বা EMJM-এর মতো অন্যান্য ইরাসমাস প্রকল্পে আবেদন করতে হবে। সে ক্ষেত্রে অংশগ্রহণকারী শনাক্তকরণ কোড নম্বর প্রয়োজন হবে। বর্তমানে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় এ ধরনের ফান্ড পাওয়ার জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত নয়, তবে এ লক্ষ্যে কাজ চলমান রয়েছে।

জানা যায়, আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৬ পর্যন্ত কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্টনার প্রতিষ্ঠানগুলো এ প্রাতিষ্ঠানিক আইডি ব্যবহার করে আইসিএম ফান্ডের জন্য আবেদন করতে পারবে। আবেদন সফল হলে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামে অংশ নেওয়ার সুযোগ পাবেন।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow