ইশতেহারের জন্য অনলাইনে মতামত নেবে জামায়াত

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনের জন্য একটি জনবান্ধব, বাস্তবসম্মত ও জবাবদিহিমূলক নির্বাচনি ইশতেহার প্রণয়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ‘জনতার ইশতেহার’ নামে একটি ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এ উদ্যোগের আওতায় আগামী সাত দিনব্যাপী (১৮ ডিসেম্বর থেকে ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত) দেশবাসীর কাছ থেকে সরাসরি মতামত সংগ্রহ করা হবে ইনশাআল্লাহ। তিনি আরও বলেন, জামায়াতে ইসলামীর নির্ধারিত ওয়েবসাইট ও অ্যাপভিত্তিক ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সাধারণ নাগরিকরা জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে নীতিগত মতামত, সমস্যা ও প্রস্তাবনা জমা দিতে পারবেন। লিখিত মতামতের পাশাপাশি অডিও ও ভিডিও মাধ্যমেও মতামত প্রদানের সুযোগ থাকবে। মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, প্রচলিত রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে ইশতেহার প্রণয়নে জনগণের সরাসরি অংশগ্রহণের সুযোগ সীমিত। ‘জনতার ইশতেহার’ কর্মসূচির মাধ্যমে সেই ধারা পরিবর্তন করে জনগণকে শুধু ভোটার নয় বরং ইশতেহারের সহলেখক হিসেবে যুক্ত করাই এ উদ্যোগের মূল লক্ষ্য। তিনি আরও বলেন, এই কর্মসূচি তিনটি মৌলিক স্তম্ভের ওপর পরিচালিত হবে, প্রথমত, জনগণের সরাসরি অংশগ্রহণ: য

ইশতেহারের জন্য অনলাইনে মতামত নেবে জামায়াত

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনের জন্য একটি জনবান্ধব, বাস্তবসম্মত ও জবাবদিহিমূলক নির্বাচনি ইশতেহার প্রণয়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ‘জনতার ইশতেহার’ নামে একটি ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এ উদ্যোগের আওতায় আগামী সাত দিনব্যাপী (১৮ ডিসেম্বর থেকে ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত) দেশবাসীর কাছ থেকে সরাসরি মতামত সংগ্রহ করা হবে ইনশাআল্লাহ।

তিনি আরও বলেন, জামায়াতে ইসলামীর নির্ধারিত ওয়েবসাইট ও অ্যাপভিত্তিক ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সাধারণ নাগরিকরা জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে নীতিগত মতামত, সমস্যা ও প্রস্তাবনা জমা দিতে পারবেন। লিখিত মতামতের পাশাপাশি অডিও ও ভিডিও মাধ্যমেও মতামত প্রদানের সুযোগ থাকবে।

মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, প্রচলিত রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে ইশতেহার প্রণয়নে জনগণের সরাসরি অংশগ্রহণের সুযোগ সীমিত। ‘জনতার ইশতেহার’ কর্মসূচির মাধ্যমে সেই ধারা পরিবর্তন করে জনগণকে শুধু ভোটার নয় বরং ইশতেহারের সহলেখক হিসেবে যুক্ত করাই এ উদ্যোগের মূল লক্ষ্য।

তিনি আরও বলেন, এই কর্মসূচি তিনটি মৌলিক স্তম্ভের ওপর পরিচালিত হবে, প্রথমত, জনগণের সরাসরি অংশগ্রহণ: যেখানে নাগরিকরা অনলাইন ও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে নিজেদের মতামত উপস্থাপন করবেন। দ্বিতীয়ত: প্রযুক্তিনির্ভর ও তথ্যভিত্তিক বিশ্লেষণ, যার মাধ্যমে সংগৃহীত মতামতগুলোর শ্রেণিবিন্যাস, মূল্যায়ন ও অগ্রাধিকার নির্ধারণ করে অনলাইনে ইশতেহার আকারে প্রকাশ করা হবে। তৃতীয়ত, ডিজিটাল প্রমিজ ট্র্যাকার: যেখানে ইশতেহারে দেওয়া প্রতিশ্রুতির অগ্রগতি ভবিষ্যতে জনসম্মুখে উপস্থাপনের ব্যবস্থা থাকবে। এর আওতায় একটি দ্বি-স্তরীয় ইশতেহার কাঠামো গড়ে তোলা হবে, একটি জাতীয় সমন্বিত ইশতেহার এবং অন্যটি সংসদীয় আসনভিত্তিক বা স্থানীয় ইশতেহার।

তিনি বলেন, সংগৃহীত সব মতামত কাঠামোবদ্ধ ও তথ্যভিত্তিক মূল্যায়নের মাধ্যমে বিশ্লেষণ করে একটি কাঠামোর ভিত্তিতে নির্বাচনি ইশতেহার প্রণয়ন করা হবে।

এছাড়া ইশতেহারে দেওয়া প্রতিশ্রুতিগুলোর বাস্তবায়ন পর্যবেক্ষণের জন্য ভবিষ্যতে একটি ওয়েবভিত্তিক ডিজিটাল প্রমিজ ট্র্যাকার চালুর পরিকল্পনার কথা রয়েছে বলে তিনি জানান।

তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, জামায়াতে ইসলামীর এই উদ্যোগ বাংলাদেশের রাজনীতিতে স্বচ্ছতা, অংশগ্রহণমূলক ও জবাবদিহিতার একটি নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।

‘জনতার ইশতেহার’ কর্মসূচি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য ও মতামত দেওয়ার সুযোগ এই ওয়েবসাইটটিতে পাওয়া যাবে:

আরএএস/এসএনআর/এমএস

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow