ইসরায়েলকে পশ্চিম তীর দখলের অনুমতি দেবেন না ট্রাম্প

1 hour ago 5

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন, তিনি ইসরায়েলকে ওয়েস্ট ব্যাঙ্ক (পশ্চিম তীর) দখল বা সংযুক্ত করার অনুমতি দেবেন না। এই মন্তব্যের মাধ্যমে তিনি ইসরায়েলের কিছু কট্টর ডানপন্থি রাজনীতিকের দাবি প্রত্যাখ্যান করলেন, যারা ওই অঞ্চলকে ইসরায়েলের আওতাভুক্ত করতে চায় এবং একটি সম্ভাব্য ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের পথ পুরোপুরি বন্ধ করতে চায়।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, আমি ইসরায়েলকে ওয়েস্ট ব্যাঙ্ক দখলের অনুমতি দেবো না। না, আমি এটা হতে দেব না। এটা ঘটবে না। ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের সামনে তিনি আরও বলেন, পর্যাপ্ত হয়েছে। এখন থামার সময় এসেছে।

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু সাম্প্রতিক সময়ে তার ডানপন্থি মিত্রদের কাছ থেকে পশ্চিম তীর সংযুক্তকরণের বিষয়ে চাপের মুখে পড়েছেন। এ নিয়ে আরব নেতাদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ফাকে মঙ্গলবার ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করেছেন কয়েকজন আরব নেতা।

ট্রাম্পের এই ঘোষণার প্রেক্ষিতে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি নেতানিয়াহুর কার্যালয়। তবে জানানো হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নিউইয়র্ক থেকে ইসরায়েলে ফিরে এ বিষয়ে বক্তব্য দেবেন।

এদিকে, ফ্রান্স, ব্রিটেন, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া এবং পর্তুগাল সাম্প্রতিক দিনগুলোতে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিয়েছে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের সম্ভাবনা টিকিয়ে রাখার উদ্দেশ্যে। ইসরায়েল এই পদক্ষেপগুলোকে তীব্রভাবে নিন্দা করেছে।

ইসরায়েল ১৯৬৭ সালের যুদ্ধের সময় পশ্চিম তীর দখল করার পর সেখানকার বসতি সম্প্রসারণ অব্যাহত রেখেছে। বর্তমানে প্রায় ৭ লাখ ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারী পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে বসবাস করছে, যেখানে প্রায় ২৭ লাখ ফিলিস্তিনি বসবাস করেন। এসব বসতি আন্তর্জাতিকভাবে অবৈধ হিসেবে বিবেচিত হলেও ইসরায়েল তা মানে না।

সম্প্রতি ইসরায়েল সরকার বিতর্কিত ই১ প্রকল্পের চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে, যা দখলকৃত পশ্চিম তীরকে দ্বিখণ্ডিত করবে এবং পূর্ব জেরুজালেম থেকে আলাদা করে দেবে। ফিলিস্তিনিরা যেসব এলাকায় ভবিষ্যত রাষ্ট্র গঠনের আশা করছিল এই প্রকল্প সেগুলোকে আরও ছিন্নভিন্ন করবে।

ইসরায়েলের কট্টর ডানপন্থি অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোত্রিচ এর আগে বলেছিলেন, ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের ধারণা এখন ইতিহাস।

এ সপ্তাহের শুরুতে ট্রাম্পের সঙ্গে এক বৈঠকে আরব ও মুসলিম নেতারা তাকে সতর্ক করে বলেন, পশ্চিম তীর সংযুক্ত করার যেকোনো উদ্যোগ গুরুতর পরিণতি ডেকে আনতে পারে। সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান আল-সৌদ জানান, এই বার্তাটি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প খুব ভালোভাবেই বুঝেছেন।

সূত্র: রয়টার্স

এমএসএম

Read Entire Article