গাজা থেকে এক ইসরায়েলি নারীকে মুক্তি দিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামীদের সংগঠন হামাস। যুদ্ধবিরতি চুক্তির অধীনে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
মুক্তি পাওয়া ওই নারী সেনার নাম আগাম বেরগার। মুক্তি দেওয়ার সময় তিনি সামরিক পোশাক পরে মঞ্চে ওঠেন। এরপর তাকে রেড ক্রসের গাড়িতে তুলে দেওয়া হয়। এ সময় তিনি দর্শকদের উদ্দেশে হাত নাড়ান।
এর আগে আল জাজিরা জানায়, গাজা থেকে আরও আট জিম্মিকে মুক্তি দেবে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামীদের সংগঠন হামাস। গোষ্ঠীটি জানিয়েছে, এবার তিন ইসরায়েলি ও পাঁচ থাই নাগরিককে মুক্তি দেওয়া হবে। বৃহস্পতিবার তারা মুক্তি পাবেন। গাজার বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের মুক্তি দেওয়া হবে।
থাইল্যান্ডের সরকার জানিয়েছে, গাজায় তাদের অন্তত ছয়জন নাগরিক জিম্মি রয়েছেন। তারা হলেন, ওয়াচারা শ্রীউয়ান, বান্নাওয়াত সিথো, সাথিয়ান সুওয়ান্নাখাম, নাত্তাপং পিন্টা, পংসাক তান্না এবং সুরাসাক লামনাউ। এ ছাড়া আরও দুই জিম্মি মারা গিয়েছে বলা ধারণা করা হচ্ছে। তারা হলেন, সুদথিসক রিন্তলক ও সোনথায় ওকখরশ্রী।
এর আগে গত ২৫ জানুয়ারি চার ইসরায়েলি নারী সেনাকে মুক্তি দেয় হামাস। বিনিময়ে ইসরায়েলি কারাগার থেকে মুক্তি পান ২০০ ফিলিস্তিনি। এ ছাড়া যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে ১৯ জানুয়ারি তিন জিম্মির বিনিময়ে ইসরায়েল ৯০ জন ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেয়। ওই সময়ে রয়টার্স জানায়, মুক্তি পাওয়া বেশিরভাগ ফিলিস্তিনি বন্দি সম্প্রতি আটক হয়েছেন এবং তাদের বিরুদ্ধে কোনো সাজা ঘোষণা করা হয়নি। যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুযায়ী প্রথম ধাপে হামাসের হাতে থাকা ৩৩ ইসরায়েলি জিম্মির মুক্তির বিনিময়ে ইসরায়েল তাদের হাতে আটক কয়েকশ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেবে। ছয় সপ্তাহের মধ্যে এই বন্দি বিনিময় শেষ হবে।
এ চুক্তির ফলে গাজার ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাগুলো থেকে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার করা হবে এবং বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা তাদের বাড়িঘরে ফিরে যেতে পারবেন। ত্রাণবাহী ট্রাকগুলোকে প্রতিদিন গাজায় প্রবেশ করতে দেওয়া হবে।
চুক্তির দ্বিতীয় ধাপে হামাসের হাতে থাকা বাকি ইসরায়েলি জিম্মিরা মুক্তি পাবেন এবং গাজা থেকে ইসরায়েলি সেনা পুরোপুরিভাবে প্রত্যাহার করা হবে। তৃতীয় ধাপে গাজা পুনর্গঠন হবে, যা কয়েক বছর সময় নিতে পারে। এ ছাড়া মৃত ইসরায়েলি জিম্মিদের মরদেহ ফেরত দেওয়া হবে।