ইসরায়েলে দুই ব্রিটিশ আইনপ্রণেতা আটক

1 day ago 6
ইসরায়েল কর্তৃপক্ষ দুই ব্রিটিশ আইনপ্রণেতাকে আটক করেছে, যারা ব্রিটিশ পার্লামেন্টের একটি প্রতিনিধিদলের অংশ হিসেবে ইসরায়েল সফরে গিয়েছিলেন। তবে, সফরের সময় ইসরায়েল তাদের কোনো কার্যালয়ে প্রবেশ করতে দেয়নি এবং একপর্যায়ে তাদের আটক করে। স্থানীয় সময় শনিবার (৬ এপ্রিল) রাতে, ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি এক বিবৃতির মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। খবর রয়টার্স। বিবৃতিতে তিনি জানান, আটক হওয়া দুই আইনপ্রণেতা হলেন ব্রিটিশ লেবার পার্টির সদস্য ইউয়ান ইয়াং এবং আবতিসাম মোহামেদ। তারা ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনীর কার্যকলাপ নথিভুক্ত করা এবং ইসরায়েলবিরোধী প্রচারণা চালানোর পরিকল্পনা করছে—এমন সন্দেহে তাদের আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলের অভিবাসন মন্ত্রণালয়। এই দুই আইনপ্রণেতা, ইয়াং এবং মোহামেদ, যথাক্রমে আর্লি ও উডলি এবং শেফিল্ড সেন্ট্রাল এলাকার প্রতিনিধিত্ব করেন। তারা শুক্রবার যুক্তরাজ্যের লুটন থেকে ইসরায়েলে পৌঁছেছিলেন। ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি বলেন, ইসরায়েল সরকারকে স্পষ্ট করে বলতে চাই, ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সদস্যদের সঙ্গে এভাবে আচরণ করা উচিত নয়। আমরা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি এবং প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছি।  তিনি আরও যোগ করেন, যুক্তরাজ্য সরকারের লক্ষ্য হলো ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় রক্তপাত বন্ধ করা, জিম্মিদের মুক্তি এবং যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে আলোচনায় ফিরে আসা। এ ঘটনার পর, ব্রিটিশ সরকার ইসরায়েলের পক্ষ থেকে এই ধরনের পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়েছে এবং আটক দুই সদস্যের মুক্তির জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে প্রস্তুত রয়েছে। প্রসঙ্গত, ইসরায়েল রাষ্ট্র গঠনে যুক্তরাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। ১৯১৭ সালে, ব্রিটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইহুদিদের জন্য একটি জাতীয় ঘর বা দেশ প্রতিষ্ঠার সমর্থন জানিয়ে ‘ব্যালফোর ডিক্লারেশন’ প্রকাশ করে। এরপর, ১৯২০ থেকে ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত যুক্তরাজ্য ফিলিস্তিন অঞ্চলের শাসনকার্য চালায়। এই সময়ে, ফিলিস্তিনে ইহুদি ও আরব জনগণের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরে, ১৯৪৭ সালে, জাতিসংঘ ফিলিস্তিনকে দুটি দেশে ভাগ করার প্রস্তাব দেয় এবং ১৯৪৮ সালে ইসরায়েল স্বাধীনতা ঘোষণা করে। তাই, ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় যুক্তরাজ্যের ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ।
Read Entire Article