তেহরানে হামাসের রাজনৈতিক প্রধান ইসমাইল হানিয়াকে হত্যার ঘটনায় ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে জাতিসংঘে একটি বিবৃতি জারি করেছে ইরানি মিশন। ইরানের প্রতিক্রিয়ার দুটি সুস্পষ্ট ফলাফল হওয়া উচিত বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ থেকে ধারণা করা হচ্ছে যে ইসরায়েলে হামলার ইঙ্গিত দিয়েছে ইরান। বার্তা সংস্থা মেহের নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রথমত ইরানের জাতীয় সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য আগ্রাসী দেশকে শাস্তি দিতে হবে। দ্বিতীয়ত ইরানের প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করতে হবে এবং ভবিষ্যতে যে কোনো আগ্রাসন ঠেকাতে (ইসরায়েলি) সরকারের গভীর অনুতাপ থাকতে হবে। এছাড়াও ইরানের প্রতিক্রিয়ায় একটি সম্ভাব্য (গাজা) যুদ্ধবিরতির সম্ভাব্য নেতিবাচক প্রভাব এড়াতে হবে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে যে, ইরান এমন সময় এবং পদ্ধতিতে প্রতিক্রিয়া জানাবে যা ইসরায়েলিদের অবাক করে দেবে। হয়তো যখন তাদের চোখ আকাশে এবং রাডার স্ক্রিনের দিকে থাকে তখন তারা মাটিতে কোনো কিছু ঘটতে দেখে বিস্মিত হয়, এবং হয়ত এই দুটিরই সংমিশ্রণ ঘটতে পারে।
এর আগে ইসরায়েলে দফায় দফায় রকেট হামলা চালিয়েছে হিজবুল্লাহ। মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) লেবানন থেকে সকাল ও বিকেলের দিকে ৭০টি রকেট ছোড়া হয়। ইসরায়েলের সেনাবাহিনী এ তথ্য জানিয়েছে। তবে খোলা জায়গায় আঘাত হানার আগেই অধিকাংশ রকেট আকাশেই ধ্বংস করা হয়েছে বলে দাবি করা হয়।
ইসরায়েলি বাহিনীর তথ্য অনুযায়ী, আপার গ্যালিলি, ওয়েস্টার্ন গ্যালিলি ও গোলান হাইটসে হামলায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে কিছু খোলা জায়গায় আগুন ধরে যায়। এ সময় সেনাবাহিনীর সদস্যরা আগুণ নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে।
- আরও পড়ুন:
- ইসরায়েলের হামলায় ইরানের ইন্টেলিজেন্স প্রধান নিহত
- দামেস্কে বিপ্লবী গার্ডের ৫ সদস্য হত্যা/ ইসরায়েলে হামলা চালানোর হুমকি ইরানের
হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থন জানিয়ে আসছে লেবাননভিত্তিক সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহ। ফলে প্রায়ই এই দুই পক্ষের মধ্যেই হামলার ঘটনা ঘটছে। অপরদিকে ইরানে অবস্থানের সময় ইসমাইল হানিয়াকে হত্যার ঘটনায় এখন তেহরানের সঙ্গেও ইসরায়েলের যুদ্ধপরিস্থিতি তৈরির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
টিটিএন