দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতের কারণে ইসরায়েলের পর্যটন ও হোটেল ব্যবসায় মারাত্মক অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিয়েছে। গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরায়েল-অধিকৃত ভূখণ্ডে ৯০টিরও বেশি হোটেল বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে হাজার হাজার কর্মী চাকরি হারিয়েছেন
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম চ্যানেল-১২-এর প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া সংঘাতের পর অধিকৃত ভূখণ্ডে প্রতি পাঁচটি হোটেলের মধ্যে একটি বন্ধ হয়ে গেছে। গাজা যুদ্ধের প্রভাবে ইসরায়েলি হোটেল বন্ধের হার ২০ শতাংশ ছাড়িয়েছে। পাশাপাশি বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলোর ফ্লাইট বাতিল হওয়ার কারণে দেশটির অর্থনীতির বিভিন্ন খাত আরও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
চ্যানেল ১২ জানিয়েছে, এতে পর্যটন খাতের ওপর নির্ভরশীল হাজার হাজার পরিবার এখন নতুন কর্মসংস্থানের সন্ধান করছে। পর্যটন খাতে ৮৫ শতাংশেরও বেশি ঘাটতি দেখা দিয়েছে। সংবাদ মাধ্যম ইয়েদিওথ আহরোনথ জানিয়েছে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু লেবাননে হামলা চালিয়ে উত্তরাঞ্চলে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পুনরুদ্ধার করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে ছোট ব্যবসার ৮০ শতাংশই বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।
এ বিষয়ে চ্যানেল ১২ জানিয়েছে, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে বেকারত্বের হার অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় ২০ শতাংশ বেড়েছে। গাজা উপত্যকায় সামরিক অভিযানের পর থেকে ইসরায়েলের পর্যটন খাতে প্রায় ১৯.৫ বিলিয়ন শেকেল বা ৫.২৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ক্ষতি হয়েছে।
ইসরায়েলি প্রশাসনের দাবি, গাজা ও লেবাননে যুদ্ধ পরিচালনার খরচ এখন পর্যন্ত ৬০ থেকে ৭০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে যুদ্ধের মোট ব্যয় ১২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছাতে পারে।