কাতারে যুদ্ধবিরতি চুক্তির আলোচনা চলাকালেও ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের চলমান বিমান হামলায় আরও ১৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।এতে অক্টোবর ২০২৩ থেকে শুরু হওয়া হামলায় নিহতের সংখ্যা প্রায় ৪৬ হাজার ৬০০-এ পৌঁছেছে। হামলায় আহত হয়েছেন আরও লাখো ফিলিস্তিনি।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আল-জাজিরা।
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় ১৯ জন নিহত এবং ৭১ জন আহত হয়েছেন। অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে আছেন, যার ফলে উদ্ধার কাজ কঠিন হয়ে পড়েছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, গাজা উপত্যকায় ধ্বংস হওয়া বাড়ির নিচে এখনও ১০ হাজারের বেশি মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ যুদ্ধবিরতির জন্য প্রস্তাব দিলেও, ইসরায়েল তার আক্রমণ থামায়নি।
৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালাচ্ছে। এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, মসজিদ এবং হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়েছে। ইসরায়েলি আক্রমণে প্রায় ২০ লাখ ফিলিস্তিনি তাদের বাড়িঘর ছেড়েছে।
জাতিসংঘের মতে, গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। খাদ্য, পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকট রয়েছে এবং অবকাঠামোর ৬০ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ইসরায়েলি আক্রমণ গাজাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে এবং আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছে।
এদিকে চলমান সংঘাতের মধ্যে যুদ্ধবিরতির চুক্তি নিয়ে এক চূড়ান্ত খসড়া প্রস্তুত করেছেন মধ্যস্থতাকারীরা। এই খসড়াটি ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস উভয়ের প্রতিনিধিদের হাতে দেওয়া হয়েছে।
রোববার (১২ জানুয়ারি) মধ্যরাতে কাতারের রাজধানী দোহারে এ আলোচনায় একটি ঐকমত্যে পৌঁছানোর পর চূড়ান্ত খসড়াটি প্রস্তুত করা হয়। খবর রয়টার্স।
যুদ্ধবিরতির চুক্তি নিয়ে চূড়ান্ত খসড়া হওয়ার পর এখন আগামী দিনগুলো যুদ্ধবিরতি চুক্তি সুষ্ঠুভাবে করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ সময় বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।