ফ্রান্সে ইহুদিবিদ্বেষ বাড়ছে—মার্কিন রাষ্ট্রদূত চার্লস কুশনারের এমন অভিযোগকে ভিত্তিহীন আখ্যা দিয়েছে প্যারিস। এ কারণে সোমবার (২৪ আগস্ট) ফরাসি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাকে তলব করেছে।
এক বিবৃতিতে ফ্রান্স জানায়, ইহুদিবিদ্বেষ দমনে দেশটি শুরু থেকেই কঠোর অবস্থান নিয়েছে। বিশেষ করে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের পর থেকে। ফরাসি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দাবি, কুশনারের বক্তব্য আন্তর্জাতিক আইন, বিশেষ করে ১৯৬১ সালের ভিয়েনা কনভেনশনের পরিপন্থি। কারণ এটি একটি দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের শামিল।
রাষ্ট্রদূত কুশনার প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁকে পাঠানো এক চিঠিতে দাবি করেন, প্রতিদিন ফ্রান্সে ইহুদিরা আক্রমণের শিকার হচ্ছে, উপাসনালয় ও স্কুলে হামলা হচ্ছে, ইহুদিদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করা হচ্ছে। তিনি লেখেন, ‘আজকের দিনে অ্যান্টি-জায়নিজম মানেই অ্যান্টি-সেমিটিজম।’
এর আগে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ফ্রান্সের ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে বলেন, এটি ‘সন্ত্রাসকে পুরস্কৃত করার শামিল’ এবং ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডকে ইরানের আরেকটি প্রক্সি ঘাঁটিতে পরিণত করবে।
এএফপির তথ্য অনুযায়ী, জাতিসংঘের ১৯৩ সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে অন্তত ১৪৫টি দেশ এখন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিয়েছে বা দেওয়ার পরিকল্পনা করছে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে মাখোঁর পরিকল্পনার বিরোধিতা করে এটিকে ‘হামাসের প্রচারণাকে শক্তিশালী করার উপহার’ বলে আখ্যা দেন।