ইয়েমেনে সিরিজ হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। দেশটির এ হামলায় ইয়েমেনের বিদ্যুৎকেন্দ্র, তেল স্থাপনা ও বন্দরকে নিশানা করা হয়েছে। এতে অন্তত ৯ জন নিহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ইয়েমেনের বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুতিদের নিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ইয়েমেনের রাজধানী সানা ও দেশটির একটি বন্দরে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে পশ্চিম উপকূলীয় অঞ্চল এবং ইয়েমেনের গভীরে হুতিদের সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানো হয়েছে।
সেনাবাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইসরায়েলে সামরিক অভিযান চালানোয় হুতিদের বিরুদ্ধে এ হামলা চালানো হয়েছে। এর আগে ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় হুতিরা।
হুতিদের পরিচালিত আল মাসিরাহি টিভি জানিয়েছে, ইসরায়েলের হামলায় আস সালিফ বন্দরে সাতজন নিহত হয়েছেন এবং বাকিরা রাস ইসায় তেল স্থাপনায় দুটি হামলায় নিহত হয়েছেন। দুটিই এলাকায় পশ্চিমাঞ্চলীয় হোদেইদাহ প্রদেশে অবস্থিত।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শত্রুরা বন্দরকে লক্ষ্য করে ৪টি হামলা এবং তেল স্থাপনাকে নিশানা করে দুটি হামলা চালিয়েছে। এ ছাড়া রাজধানী সানার দক্ষিণ ও উত্তরে দুটি কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎকেন্দ্রকেও নিশানা করেছে তারা।
কেবল ইসরায়েলে হামলা নয়, লোহিত সাগরে দেশটির সংশ্লিষ্ট জাহাজে হামলা চালিয়ে আসছে ইয়েমেনের বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুতিরা। মার্কিন সেনা সদর দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত ১৯ নভেম্বর থেকে লোহিত সাগর ও এডেন উপসাগরে ১০০টির বেশি জাহাজে হামলা চালিয়েছে হুতিরা। তাদের হামলার ভয়ে বেশিরভাগ জাহাজ কোম্পানি গুরুত্বপূর্ণ এই দুই নৌপথ এড়িয়ে গন্তব্যে পাড়ি দিচ্ছে। এতে পরিবহন ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছে পশ্চিমারা।
হুতিদের হামলার জবাবে বেশ কয়েকটি দেশের সমন্বয়ে একটি টহল জোট গঠন করে যুক্তরাষ্ট্র। এই জোট গঠন করেও ইরানপন্থি যোদ্ধাদের থামাতে না পেরে ইয়েমেনে হুতিদের বিভিন্ন সামরিক স্থাপনায় বিমান হামলা চালায় মার্কিন ও ব্রিটিশ বাহিনী। তবে হামলা করেও এখন পর্যন্ত তাদের থামাতে পারেনি পশ্চিমারা।