ঈদ উদযাপনের সময় গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর গুলি
অবরুদ্ধ গাজায় এবারও নেই ঈদের আমেজ। ঈদের দিনও নিরীহ ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী। সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, ঈদের দিন সকালেই ইসরায়েলি বাহিনী কমপক্ষে ৯ জনকে হত্যা করেছে। নিহতদের মধ্যে পাঁচ শিশুও রয়েছে।
সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় সৃষ্ট ধ্বংসস্তূপের মধ্যেই ঈদের নামাজ আদায় করেছেন গাজার বাসিন্দার। এদিন নামাজের সময় গুলির শব্দও শোনা গেছে। এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও পোস্ট করেছে ফিলিস্তিনি তথ্য কেন্দ্র।
ঈদের ঠিক আগে শনিবারও (২৯ মার্চ) গাজার বিভিন্ন এলাকায় ইসরায়েলি হামলায় এক শিশুসহ ১৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, রোববার সকালে ঈদুল ফিতর উদযাপনের সময়ও গাজায় ইসরায়েলি বাহিনী বোমাবর্ষণ করেছে।
দীর্ঘ ১৫ মাস সামরিক অভিযানের পর যুক্তরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপে গত ১৯ জানুয়ারি গাজায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় ইসরায়েল। তারপর প্রায় দু’মাস গাজায় কম-বেশি শান্তি বজায় ছিল; কিন্তু গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহারের প্রশ্নে হামাসের মতানৈক্যকে কেন্দ্র করে চলতি মাসের তৃতীয় গত সপ্তাহ থেকে ফের গাজায় বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে গত ১৮ মার্চ থেকে গাজায় নতুন করে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ৯২১ ফিলিস্তিনি নিহত এবং আরও ৩০৫৪ জন আহত হয়েছেন। ইসরায়েলের বর্বর এই হামলা চলতি বছরের জানুয়ারিতে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভেঙে দিয়েছে।
জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছিলেন। এছাড়া অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।
২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর নৃশংস আক্রমণে ৫০,২০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। আহত হয়েছেন ১ লাখ ১৪ হাজারের বেশি মানুষ।