ঈদুল আজহায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে স্পেশাল ট্রেন চালুর সিদ্ধান্ত

3 months ago 59

কক্সবাজার স্পেশাল ট্রেনটি বাংলাদেশ রেলওয়ের সবচেয়ে বেশি লাভজনক সার্ভিসগুলোর একটি। তারপরও ট্রেনটি বন্ধ করে দিয়েছে রেলওয়ে। এতে যাত্রীদের ক্ষোভের মুখে সার্ভিসটি আবারও চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলওয়ে। তবে ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে স্পেশাল ট্রেন হিসেবেই এটি চালু হবে।

শুক্রবার বিকেলে রেলওয়ের মহাপরিচালক (ডিজি) সরদার সাহাদাত আলী গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ইঞ্জিন ও কর্মী সংকটে বন্ধ রাখা চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে স্পেশাল ট্রেনটি আবারও বিশেষ ট্রেন হিসেবে চলাচলের পরিকল্পনা রয়েছে। ঈদুল আজহা উপলক্ষে ১২ জুন থেকে পুনরায় চালু হতে যাওয়া বিশেষ ট্রেনটি চলবে ১ সপ্তাহ।

এর আগে মঙ্গলবার (২৮ মে) রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের সহকারী প্রধান পরিচালনা কর্মকর্তা (এসিওপিএস) কামাল আখতার হোসেন সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে ট্রেন বন্ধের নির্দেশনা জারি করা হয়।

ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রেলওয়ের মহাপরিচালকের কার্যালয় থেকে কক্সবাজার স্পেশাল-৩ ও ৪ ট্রেনটি ১০ জুন পর্যন্ত চলাচলের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু যান্ত্রিক বিভাগ থেকে ইঞ্জিন ও লোকোমাস্টারের সংকট থাকার কথা জানানো হয়। এজন্য কক্সবাজার বিশেষ ট্রেন ২৯ মে পর্যন্ত চলছে। ৩০ মে থেকে ১০ জুন পর্যন্ত ট্রেন চলাচল বাতিল করা হয়েছে।

ট্রেনটি বন্ধ ঘোষণা করায় পরপরই ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয় সাধারণ যাত্রীদের মাঝে। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার-চট্টগ্রাম রুটে যাত্রীরা যখন স্পেশাল ট্রেনে নিয়মিত যাতায়াত শুরু করেন, তখন বাস সার্ভিসে যাত্রী সংকট দেখা দেয়। এতে বাস মালিকরা চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে যাত্রীপ্রতি ১০০ টাকা পর্যন্ত ভাড়া কমাতে বাধ্য হন। তারপরও যাত্রী না পাওয়ায় মালিকরা রেলের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে ‘ম্যানেজ’ করে ফেলেছে বলে এই রুটে চলাচল করা যাত্রীদের অনেকেই মনে করেন।

এরই মধ্যে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি এক বিবৃতিতে দাবি করে, ‘বাস মালিকদের প্রেসক্রিপশনে কক্সবাজার স্পেশাল ট্রেন বন্ধ করা হচ্ছে।’

প্রায় ১৮ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত প্রায় ১০১ কিলোমিটার রেলপথ গত বছরের ১১ নভেম্বর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর ডিসেম্বর থেকে দুই ধাপে ঢাকা থেকে কক্সবাজার রুটে দুটি বিরতিহীন আন্তঃনগর ট্রেন চালু করে রেলওয়ে। কিন্তু চট্টগ্রাম কক্সবাজার রুটের জন্য এখনো কোনো আলাদা ট্রেন যুক্ত করেনি রেল কর্তৃপক্ষ।

এএজেড/জেডএইচ/এএসএম

Read Entire Article