ঈদে ফাঁকা রাস্তায় বাইক রেসিং করলে ব্যবস্থা: ডিএমপি কমিশনার

3 months ago 46

পরিবারের সঙ্গে ঈদুল আজহা উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন লাখ লাখ মানুষ। ফলে ঢাকার সড়কে কমে গেছে যানবাহন। এ সময়ে ফাঁকা রাস্তায় কেউ যেন ঝুঁকিপূর্ণ বাইক রেসিং না করেন সে বিষয়ে বিশেষ নজরদারি থাকবে পুলিশের। এরপরও কেউ রেসিং করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

রোববার (১৬ জুন) জাতীয় ঈদগাহ ময়দানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান।

রাজধানীবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘রাজধানীতে ফাঁকা রাস্তায় বাইক রাইডিংয়ের নামে কেউ যেন এ মরণ খেলায় মেতে না ওঠেন। আমরা অতীতে অনেক দুর্ঘটনার কথা জানি। এবার পুলিশের পক্ষ থেকে এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে, যাতে কেউ রেসিং করতে না পারেন।’

তিনি বলেন, ‘সারা দেশের মতো ঢাকা মহানগরীতেও যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে। জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে। রাষ্ট্রপতি, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য ও বিশিষ্ট ব্যক্তিরা এ ঈদগাহে নামাজ আদায় করবেন। জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পাঁচটি জামাতের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ঢাকা মহানগরীতে সব জামাতের জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।’

জাতীয় ঈদগাহে এবারের ঈদ জামাতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা হাতে নেওয়া হয়েছে বলে জানান হাবিবুর রহমান। সবকিছু মাথায় রেখে নিরাপত্তা ব্যবস্থা সাজানো হয়েছে বলে জানান তিনি। এছাড়া ঈদকেন্দ্রিক সুনির্দিষ্ট কোনো হুমকি নেই বলেও জানান ডিএমপি কমমিশনার।

জাতীয় ঈদগাহে নিরাপত্তার জন্য পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার জন্য পার্কিং ও ডাইভারশন থাকবে। পোশাকধারী পুলিশ সদস্যদের পাশাপাশি সাদা পোশাকে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে। পেট্রোলিং, সিসি ক্যামেরা মনিটরিংসহ নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শহরের বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের পাশাপাশি র‌্যাবের পেট্রোল টিম দায়িত্ব পালন করবে।’

এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘আমরা সব ধরনের চ্যালেঞ্জ মাথায় রেখেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকি। আমরা সবসময় সর্বাত্মক ও সর্বোচ্চ ব্যবস্থাটাই নিয়ে থাকি। এবারও সেটি করা হয়েছে। জঙ্গি হামলার কোনো সুনির্দিষ্ট থ্রেট নেই, তারপরও আমরা সবকিছু মাথায় রেখে আমাদের নিরাপত্তা পরিকল্পনা সাজিয়ে থাকি।’

এসময় ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) ড. খ. মহিদ উদ্দিন, অতিরিক্ত কমিশনার মো. আশরাফুজ্জামান, সিটিটিসির প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান, অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ ও পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এফএইচ/কেএসআর/জেআইএম

Read Entire Article