ঈদুল আজহা উপলক্ষে আগামী ১৪-১৮ জুন পর্যন্ত সংসদ অধিবেশন মুলতবি থাকবে। বুধবার (৫ জুন) সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদের কার্য উপদেষ্টা কমিটির দ্বিতীয় বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। কমিটির সভাপতি জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন এতে সভাপতিত্ব করেন।
কমিটির সদস্য এবং সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।
এছাড়া বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন কমিটির সদস্য বিরোধীদলীয় নেতা জিএম কাদের, আমির হোসেন আমু, আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, ওবায়দুল কাদের, রাশেদ খান মেনন, আনিসুল হক, বিরোধী দলের উপ-নেতা আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, আবদুল লতিফ সিদ্দিকী, ডেপুটি স্পিকার মো. শামসুল হক টুকু, ডা. দীপু মনি, চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী এবং এ কে এম রেজাউল করিম তানসেন।
সভাপতির অভিপ্রায় অনুযায়ী অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।
বৈঠকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের তৃতীয় অধিবেশনের কার্যাদি নিষ্পন্নের জন্য সময় বরাদ্দ ও অধিবেশনের স্থায়িত্বকাল নিয়ে আলোচনা করা হয়।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বৃহস্পতিবার ৬ জুন বিকেল ৩টায় অধিবেশন শুরু হবে। শুক্র, শনিবার ও সরকারি ছুটির দিন অধিবেশন হবে না। তবে ২২-২৯ জুন শনিবার অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত এবং সন্ধ্যা ৭টা থেকে ১০টা পর্যন্ত অধিবেশন চলবে মর্মে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়। আগামী ১৩ জুন অধিবেশন মুলতবি হয়ে ১৯ জুন পুনরায় শুরু হবে।
এছাড়া সংসদের কার্যাবলীর পরিমাণ বিবেচনায় স্পিকার দ্বাদশ জাতীয় সংসদের তৃতীয় (বাজেট অধিবেশন) অধিবেশনের স্থায়িত্বকাল নির্ধারণ করবেন মর্মে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়। প্রয়োজনে অধিবেশনের সময় ও কার্যদিবস সম্পর্কিত যে কোনো পরিবর্তনের ক্ষমতা স্পিকারকে দেওয়া হয়।
এ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর জন্য ৮২টি ও অন্যান্য মন্ত্রীর জন্য ১৮৯০টি প্রশ্নসহ মোট ১৯৭২টি প্রশ্ন পাওয়া গেছে। বিধি-৭১ এ মনোযোগ আকর্ষণের নোটিশ পাওয়া গেছে ৫৪টি এবং প্রস্তাব (সাধারণ) বিধি-১৪৭ এ নোটিশ পাওয়া যায়নি।
বিধি-১৩১ এ সিদ্ধান্ত প্রস্তাবের সংখ্যা ১২৯টি। বেসরকারি বিলের নোটিশ পাওয়া যায়নি। পাঁচটি সরকারি বিলের মধ্যে কমিটিতে পরীক্ষাধীন তিনটি, পাশের অপেক্ষায় একটি ও সংসদে উত্থাপনের অপেক্ষায় একটি।
বৈঠক সঞ্চালনা করেন সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিবকে এম আব্দুস সালাম। এতে সংসদ সচিবালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আইএইচআর/এমআইএইচএস/এমএস