পবিত্র ঈদুল আজহায় রৌমারী-চিলমারী রুটে ফেরি সুবিধা পাচ্ছেন না ব্রহ্মপুত্র নদের নৌপথের যাত্রীরা। ফলে নানা ভোগান্তি আর বাড়তি খরচ করতে হচ্ছে ঘরে ফেরা মানুষের। দীর্ঘ পাঁচ মাস বন্ধ থাকার পর ফেরি চালুর ১২ দিনের মাথায় ফের বন্ধ হয়ে যায়।
অপরদিকে, ফেরি বন্ধ থাকায় ঈদ উপলক্ষে যাত্রীদের কাছ থেকে বাড়তি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। বৃহস্পতিবার সকালে বাড়তি ভাড়া চাওয়ায় চিলমারীর রমনা ঘাটে নৌকা মালিকের সঙ্গে কয়েকজন যাত্রীর বাকবিতণ্ডা হয়। এতে তিন নৌকা যাত্রী আহত হন বলে জানা গেছে। তবে তাদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
এর আগে গত বছর ২৩ ডিসেম্বর নাব্যতা সংকটের কারণে ওই পথে ফেরি চলাচল বন্ধ করে বিআইডব্লিউটিএ। এরপর ২২ মে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বাড়লে আবার ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হয়। তবে ফেরি চালুর ১২ দিন পরই বুধবার (৪ জুন) রৌমারীর ফলুয়ার চর ঘাটের রাস্তা তলিয়ে যাওয়ায় ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়।
রৌমারী ঘাট দিয়ে চিলমারী যাওয়া নৌকার যাত্রী আলমগীর হোসেন ও মোজাফ্ফর আলী জানান, রৌমারী থেকে চিলমারী ঘাটের নৌকা ভাড়া ১০০ টাকা। কিন্তু ঈদকে সামনে রেখে বাড়তি ৫০-১০০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে। অতিরিক্ত ভাড়ার কোনো রশিদও দিচ্ছে না। প্রতিবাদ করলে তারা উল্টো খারাপ আচরণ করে।
এ বিষয়ে চিলমারী রমনা ঘাটের চেইন মাস্টার সিদ্দিক আলীর সঙ্গে যোগাযোগ করলে তাকে পাওয়া যায়নি।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) চিলমারীর ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) প্রফুল্ল চৌহান বলেন, ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় দুই তীরের ঘাট ডুবে গেছে। আমরা চিলমারী-রৌমারী ঘাটে শুষ্ক মৌসুমে পানি কম থাকলে একটি, পানি বৃদ্ধি পেলে আরেকটি ঘাট তৈরির প্রস্তাব দিয়েছি। এছাড়া নাইট নেভিগেশন করা হলে রাতেও ফেরি চলবে। এতে যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে সুবিধা হবে।
রোকনুজ্জামান মানু/জেডএইচ/এমএস

 4 months ago
                        13
                        4 months ago
                        13
                    








 English (US)  ·
                        English (US)  ·