লক্ষ্য খুব বড় নয়, মাত্র ১১৪ রানের। বাংলাদেশের ব্যাটারদের মারকুটে খেলতে হবে না, কেবল দেখেশুনে খেললেই হবে। পাওয়ার প্লেতে সেই কাজটি মোটামুটি ভালোভাবেই করেছেন শান্ত-লিটনরা।
তানজিদ হাসান তামিম ২ বাউন্ডারিতে বল সমান ৯ রান করে কাগিসো রাবাদার বেরিয়ে যাওয়া বলে ড্রাইভ খেলে উইকেটরক্ষকের ক্যাচ হন। এরপর পাওয়ার প্লে দেখেশুনে কাটিয়ে দিয়েছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত আর লিটন দাস। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ২৯ রান তোলে বাংলাদেশ।
কিন্তু পাওয়ার প্লের পর টানা দুই ওভারে দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়েছে টাইগাররা। সপ্তম ওভারে এসে লিটন বাজে শট খেলে আউট হয়েছেন। কেশভ মহারাজের ঘূর্ণিতে এক্সট্রা কভারে ক্যাচ তুলে দেন তিনি, ১৩ বলে করেন ৯।
পরের ওভারে অ্যানরিখ নরকিয়াকে হুক করতে গিয়ে মিডউইকেটে ক্যাচ তুলে দেন সাকিব আল হাসান। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার ৪ বলে করেন ৩ রান।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৮ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৪০ রান। শান্ত ১৪ আর হৃদয় ৩ রানে অপরাজিত আছেন।
এর তানজিম হাসান সাকিব-তাসকিন আহমেদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ৬ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১১৩ রান তুলতে পারে দক্ষিণ আফ্রিকা। হেনরিখ ক্লাসেন ৪৪ বলে ৪৬ আর ডেভিড মিলার ৩৮ বল খেলে ২৯ রান না করলে আরও খারাপ অবস্থা হতো প্রোটিয়াদের।
২৩ রানে ৪ উইকেট হারানো দলকে টেনে তোলেন এই দুজন। পঞ্চম উইকেটে প্রতিরোধ গড়ে তারা যোগ করেন বল সমান ৭৯।
তানজিম সাকিব ৪ ওভারে ১৮ রান খরচায় নেন ৩টি উইকেট। তাসকিন সমান ওভারে ১৯ রানে নেন ২টি। রিশাদ হোসেন ৪ ওভারে ৩২ রান দিয়ে নেন একটি উইকেট।
এমএমআর/