উচ্চমধ্যম আয়ের দেশ গড়তে প্রয়োজন সবুজ প্রবৃদ্ধি: বিশ্বব্যাংক

3 months ago 37

গ্রিন গ্রোথ বা সবুজ প্রবৃদ্ধির ফ্রেমওয়ার্ক বাংলাদেশকে টেকসই উন্নয়ন অর্জনে সহায়তা করতে পারে। ২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চমধ্যম আয়ের দেশের রূপকল্প অর্জনের জন্য বাংলাদেশের সবুজ প্রবৃদ্ধি প্রয়োজন। যা প্রাতিষ্ঠানিক শক্তিশালীকরণ, নিয়ন্ত্রক সংস্কার, জলবায়ু প্রতিক্রিয়াশীল সরকারি ও বেসরকারি অর্থায়ন এবং নীতি কাঠামো সক্ষম করার মাধ্যমে অর্জন করা যেতে পারে।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) বিশ্বব্যাংকের প্রকাশিত ‘গ্রিন গ্রোথ ফ্রেমওয়ার্ক বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

গ্রিন গ্রোথ বা সবুজ প্রবৃদ্ধি হচ্ছে সেই অবস্থা, যেখানে কম কার্বন নিঃসরণের মাধ্যমে সামগ্রিক বিকাশ এবং প্রাণ-প্রকৃতি ও পরিবেশ সুরক্ষিত রেখে অগ্রগতি সাধন করা হয়। এক কথায় পরিবেশ বা প্রতিবেশের ক্ষতি না করে যে প্রবৃদ্ধি, সেটিই গ্রিন গ্রোথ বা সবুজ প্রবৃদ্ধি।

আরও পড়ুন

ফ্রেমওয়ার্ক ফর ইমপ্লিমেন্টিং গ্রিন গ্রোথ ইন বাংলাদেশ-২০২৩ শীর্ষক প্রতিবেদন অনুসারে, সবুজ প্রবৃদ্ধি পরিবেশগত সম্মতি, সুবিধা এবং সুরক্ষার সঙ্গে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির ভারসাম্য বজায় রেখে প্রবৃদ্ধির একটি শক্তিশালী এবং টেকসই চালক হতে পারে।

প্রতিবেদনে ৯টি মূল নীতি নির্দেশনা প্রস্তাব করা হয়েছে। যার লক্ষ্য তিনটি হলো- অতিমাত্রায় লক্ষ্য অর্জন, কার্যকর পরিবেশগত শাসন এবং শক্তির স্থানান্তর।

সবুজ প্রবৃদ্ধির জন্য নতুন ইঞ্জিন এবং দক্ষতা এবং একটি স্থিতিস্থাপক, সবুজ এবং স্বাস্থ্যকর সমাজে ন্যায্য রূপান্তর জরুরি। নীতি নির্দেশাবলির মধ্যে রয়েছে পরিবেশগত শাসনকে শক্তিশালী করা, পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি বাণিজ্যের প্রচার, সবুজ শিল্প ও মানব পুঁজিতে বিনিয়োগ করা এবং জনস্বাস্থ্য ও কল্যাণের উন্নতি ইত্যাদি।

বাংলাদেশে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেক বলেন, বৈশ্বিক অভিজ্ঞতা দেখায় যে পরিবেশের ক্ষতি করে কিছু টিকিয়ে রাখা যায় না। অন্যদিকে, সবুজ প্রবৃদ্ধি দারিদ্র্য হ্রাস করার জন্য একটি শক্তিশালী এবং কার্যকর উপায়- এটা প্রমাণিত।

আরও পড়ুন

তিনি বলেন, আমাদের পরিবেশকে রক্ষা করতে হবে। এটি মূলত প্রবৃদ্ধির অনুঘটক হিসেবে কাজ করে। আমি বাংলাদেশকে দেখে আনন্দিত সবুজ এবং স্থিতিস্থাপক প্রবৃদ্ধি অর্জনের প্রতি সরকারের প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যা বিশ্বব্যাংকের নতুন দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে ভালোভাবে অনুরণিত, একটি বাসযোগ্য গ্রহে দারিদ্র্যের অবসান ঘটাতে পারবে।

বাংলাদেশের গ্রিন গ্রোথ এজেন্ডাকে একটি সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি নিতে হবে, যেন বিশুদ্ধ বায়ু, পানি ও জমি, মানসম্পন্ন চাকরি, গতিশীলতা, পরিচ্ছন্ন প্রযুক্তি এবং মানব পুঁজিতে বিনিয়োগ অন্তর্ভুক্ত থাকে।

প্রতিবেদনে সবুজ প্রবৃদ্ধির উদ্যোগকে সমর্থন করা এবং পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য এবং সেক্টরগুলোর মধ্যে সবুজ অর্থায়নের জন্য দক্ষতা তৈরি করতে এবং অন্যদের মধ্যে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য শক্তিশালী অর্থায়নের ব্যবস্থার পরামর্শ দেওয়া হয়।

এমওএস/এমকেআর/জিকেএস

Read Entire Article