রাজধানীর উত্তরায় চাঁদাবাজির অভিযোগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিন ছাত্রকে আটক করে পুলিশ। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে উত্তরার অন্য ছাত্ররা তাদের ছাড়িয়ে নিতে থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেন। একপর্যায়ে তারা মহাসড়ক অবরোধ এবং উত্তরা পশ্চিম থানায় হামলা চালান।
এ ঘটনার তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর হাতিরঝিলে পুলিশ প্লাজায় অবস্থিত নৌ পুলিশের সদর দপ্তর পরিদর্শন শেষে এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন উপদেষ্টা।
গতকাল উত্তরা থানায় হামলা করে আসামি ছিনিয়ে নেওয়া হয়, কাশিমপুর কারাগারেও হামলার ঘটনা ঘটেছে। বার বার এমন হামলার কোনো প্রতিকার হচ্ছে না বলে হামলার ঘটনা ঘটেছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, না প্রতিকার হচ্ছে না বলে না, প্রতিকার হচ্ছে।
তিনি বলেন, উত্তরাতে যে ঘটনা ঘটেছে এর জন্য আমরা একটা ইনভেস্টিগেশন (তদন্ত) টিম করবো। যারা এর জন্য দায়ী তাদের ক্ষেত্রে আমরা আইনআনুগ ব্যবস্থা নেবো। কারাগারের ক্ষত্রেও একই ব্যবস্থা নেবো।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে রাজধানীর উত্তরায় চাঁদাবাজির অভিযোগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিন ছাত্রকে আটকের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় উত্তরা পশ্চিম থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবু সাঈদকে ক্লোজড করা হয়। একই সঙ্গে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হচ্ছে বলেও নিশ্চিত করেছিলেন উত্তরা বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) আহম্মদ আলী।
- আরও পড়ুন
- শেখ হাসিনার ভাষণের সময় গণহত্যার ভিডিও-ছবি দেখাবে বৈষম্যবিরোধীরা
- হাসিনা প্রশ্নে নো সুশীলতা: হাসনাত আব্দুল্লাহ
তিনি বলেছিলেন, ছাত্রদের সঙ্গে পুলিশের ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। পরবর্তীতে দুই পক্ষ বসে একটি সুন্দর সমাধান করেছি। ভুল বোঝাবুঝি দূর হয়েছে।
এডিসি আহম্মদ আলী আরও বলেন, ছাত্রদের আটকের ঘটনায় এসআই আবু সাঈদকে ক্লোজড করা হয়েছে। ছাত্ররা উত্তরা পশ্চিম থানার ওসি মো. হাফিজুর রহমান ও এসআই আবু সাঈদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। আমরা সেগুলোর তদন্ত করবো।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে উত্তরা ১৩ নম্বর সেক্টরের গাউসুল আজম অ্যাভিনিউ সড়কে বৈঠকের আয়োজন করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। বৈঠক চলাকালে উত্তরা পশ্চিম থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবু সাঈদের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল সেখানে থাকা তিন ছাত্রকে আটক করে। পরে তাদের উত্তরা পূর্ব থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
আটক হওয়া ছাত্রদের মধ্যে ছিলেন- ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের (আইইউবি) ছাত্র আসিফুল হক রবিন, উত্তরা টাউন ডিগ্রি কলেজের ছাত্র আকাশ ও গাজীপুরের বিএএসটির ছাত্র বাপ্পি।
পরে ছাত্রদের আটকের খবর ছড়িয়ে পড়লে উত্তরার অন্য ছাত্ররা তাদের ছাড়িয়ে নিতে থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন। একপর্যায়ে তারা মহাসড়ক অবরোধ এবং উত্তরা পশ্চিম থানায় হামলা চালান। এতে উত্তরা পশ্চিম থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মেহেদী আহত হন।
কেআর/কেএসআর/জিকেএস