উত্তরে আরও কমল তাপমাত্রা
হিমালয়ের কাছাকাছি হওয়ায় হিমেল বাতাসে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা আরও কমতে শুরু করেছে। একইসঙ্গে হালকা ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে পথঘাট ও প্রকৃতি। গত এক সপ্তাহ ধরে ১৩ থেকে ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠানামা করছে তাপমাত্রা।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সকাল ৯টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে গতকাল সোমবার সকাল ৯টায় ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
এদিকে, দিনের বেলা তাপমাত্রা সহনীয় পর্যায়ে থাকলেও মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত ঠান্ডা অনুভূত হতে থাকে। এ সময় ঘন কুয়াশায় ঢাকা থাকছে বিস্তীর্ণ এলাকা। শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে বিলম্বে যাতায়াত করছে। পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালসহ জেলার উপজেলার হাসপাতালে প্রতিদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। কুয়াশা ও শীতের কারণে দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষগুলো বিপাকে পড়েছেন। তারা সময়মতো কাজে যেতে পারছেন না।
আমিরুল ইসলাম নামে এক চাষি কালবেলাকে বলেন, গত ৫-৬ দিন থেকে শীত ও ঠান্ডা অনেক বাড়ছে। রাতে বৃষ্টির মতো পড়তে থাকে কুয়াশা। ঠান্ডা ও শীতের কারণে কাজ করতে সমস্যা হচ্ছে। তারপরও সকালে কাজের জন্য বের হয়েছি। কাজ না করলে তো আর সংসার চলবে না।
পাথর শ্রমিক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, আজ খুব কুয়াশা পড়ছে। মানুষ ঘুম থেকে না উঠতেই আমরা কাজের জন্য বের হয়েছি। যতই ঠান্ডা হোক না কেন, কাজ ছাড়া কোনো উপায় নেই।
পঞ্চগড় তেঁতুলিয়ার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক জিতেন্দ্র নাথ রায় কালবেলাকে জানান, হিমালয়ের কাছাকাছি হওয়ায় উত্তর দিক থেকে বয়ে আসা হিমশীতল ঠান্ডা বাতাসের কারণে তাপমাত্রা অন্যান্য অঞ্চলের চেয়ে কম হয়ে থাকে। মঙ্গলবার সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়ায় ১৩.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। সামনের দিকে ঠান্ডার তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।